গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট করোনা শনাক্তের রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৩ কোটি ৭৭ লাখ ২৪ হাজার ৫৮০ জনে। এ সময়ে করোনায় মারা গেছেন ৩৩৭ জন। এ নিয়ে বিশ্বে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬ লাখ ৫ হাজার ৬৩১ জনে।
সোমবার সকালে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে এসব তথ্য মিলেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্যানুায়ী, দেশভিত্তিক হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে । এ সময়ে দেশটিতে করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৬৬ হাজার ৩৯৭ জন এবং মারা যান ৪৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে ২ কোটি ২৬ লাখ ৭৪ হাজার ৯৪৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ৪৭ হাজার ২৭ জন।
অন্যদিকে, দৈনিক মৃত্যুর তালিকায় শীর্ষে থাকা রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৫৬৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় এবং মারা যান ৬২ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫০ জন এবং মারা যান ৩ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৮ জন।
গত একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ১৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় এবং মারা যান সাতজন। এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৪৭ হাজার ১৯৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১০ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৫ জন। এ সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় ৩ হাজার ৬৬২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় এবং মারা গেছেন ২২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে ২৪ হাজার ৩৩৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় এবং মারা যান ৪৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩৮ জন এবং মারা গেছেন ১৩ হাজার ১৯৮ জন। এ সময়ে চিলিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭০৪ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩৬ হাজার ৬৭৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় এবং মারা যান ১৮ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৫৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩৭২ জন। একইসময়ে ফিলিপাইনে ৯১৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয় এবং মারা যান ৩৪ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৭৩৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ছয়জন। এ নিয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৮৭১ জন এবং মারা যান ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪২৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।