যুক্তরাজ্যে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই ধর্মঘটে যাচ্ছেন দেশটির নার্সরা। শনিবার (৫ নভেম্বর) দেশটির রয়্যাল কলেজ অব নার্সিং (আরসিএন) এই তথ্য ঘোষণা করেছে। সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ঋষি সুনাক। এরমধ্যে নার্সদের সম্ভাব্য ধর্মঘট এমন একটি পদক্ষেপ যা সংকটের মধ্যে সুনাকের চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
কিছুদিন ধরেই ব্রিটেনের নার্সরা তাদের বেতন নিয়ে অভিযোগ করে আসছেন। সে দেশের হাসপাতালগুলোর প্রায় ৩ লাখ নার্সের অভিযোগ, কাজ অনুযায়ী তাদের বেতন দেওয়া হয় না।
নানা অভিযোগের কারণে ৩ লাখ নার্স তাদের দায়িত্ব পালন ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই বিষয়টি ব্রিটিশ রেল নেটওয়ার্কসহ বেশ কয়েকটি শিল্পের শ্রমিকদের বিগত কয়েকমাস ধরে চলে আসা আন্দোলনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বেতন না বাড়া ও মুদ্রাস্ফীতি দুই অংকের ঘরে পৌঁছানোই জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ব্যর্থ হওয়া এসব শ্রমিকরা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নানা সময়ই ধর্মঘটের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের স্কুল কর্মীরাও ধর্মঘটের মতো পদক্ষেপে যাওয়া নিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব নার্সিংয়ের (আরসিএন) সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী প্যাট কুলেন শনিবার এক বিবৃতিতে জানান, তাদের ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি রোগী ও নার্স উভয়ের জন্য ইতিবাচক ছিল। আর এটি করার জন্য নার্সদের প্রতি আরসিএনের সমর্থন রয়েছে।
আরসিএন জানায়, সংগঠনের সদস্যরা এক দশকের বাস্তব মেয়াদে সত্যিকার অর্থেই বেতন কমানোর সম্মুখীন হয়েছে। ধর্মঘটের পক্ষে গত চার সপ্তাহে যে পরিমাণ ব্যালট পড়েছে তা সংগঠনের ১০৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
এদিকে অবজারভার পত্রিকা জানিয়েছে, নার্সরা আগামী ডিসেম্বরের ক্রিসমাসের আগে ধর্মঘট করবে। সংগঠনের ইউনিয়ন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত দিয়ে সংবাদপত্রটি জানায়, নার্সদের কাজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এই ঘটনা হবে আরসিএনের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় পর্যায়ের ধর্মঘট।