ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক( মুহুরি) মিলনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে দলিল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, হোসেনগাও ইউনিয়নের কলিগাও মৌজার শারমিন আকতার ও সাদ্দাম হোসেন তাদের ১৪ শতাংশ জমি দানপত্র দলিল করতে সম্প্রতি সাব-রেজিস্ট্র অফিসে যান। ঐ জমির খাজনা খারিজ না থাকায় মুহুরি মিলন শারমিন ও সাদ্দামের সাথে রেজিস্ট্রি বাবদ ২৭ হাজার টাকার চুক্তি হয়। গত ১২ অক্টোবর যথারীতি দলিল পাশও হয়।কিন্তু আরো ৩ হাজার টাকার জন্য শারমিনকে চাপ দেওয়া হয়। এতে শারমিন অন্য মহুরির সঙ্গে পরামর্শ করে জানতে পান এ দলিল করতে ৯ হাজার টাকা বেশি লাগার কথা নয়। এ নিয়ে শারমিনের সহায়তায় স্থানীয় কয়েকজন গত ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার শিবদিঘি মোড়ে মুহুরি মিলনের সাথে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হয়। তারা এক পর্যায়ে মিলনসহ সেখানে ২৬ হাজার টাকার ভাউচার উপস্থাপন করে। এ ঘটনা জেনে কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। এরই মাঝে মিলনের পক্ষে আরো কয়েকজন মুহুরি সেখানে উপস্থিত হন। তারা এ ঘটনার জন্য উপস্থিত লোকজনসহ
সাংবাদিকদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তারা মিলনকে নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়েন।
ঘটনা জানতে পেরে ইউএনও সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির ওই দিনেই শারমিনকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন এবং ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন। পরে তিনি এ বিষয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য শারমিনকে আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও বলেন, আমি ৮ নভেম্বর শারমিনকে আবার আসতে বলেছি, টেনশনের কিছু নেই, অবশ্যই এর সুরাহা হবে। সাবরেজিস্টার শফি আকরামউজ্জান মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমি ইউএনও স্যারের কাছে শুনে মুহুরিদেরকে অবহিত করেছি। এর বেশি কিছু আমি জানিনা।
এদিকে মুহুরি মিলন এ জমি রেজিস্ট্রিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।