জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী নবগঠিত পৌর সভার প্রথম নির্বাচন গত ২ নভেম্বর রোজ বুধবার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ অবাধ সুষ্ঠু ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী সকল চেয়ারম্যান ও কাউন্সিলর প্রার্থীগণ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিলেও ৬ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিল জাহাঙ্গীর আলমের ডালিম মার্কার বিজয় মেনে নিতে পারেনি ওই ওয়ার্ডের তৃতীয় স্থান অবস্থানকারী পরাজিত কাউন্সিল প্রার্থী মো. জিন্নাহ (পাঞ্জাবি মার্কা)। হাজরাবাড়ী নবগঠিত এই পৌরসভা নির্বাচন কে কেন্দ্র করে পরবর্তী সহিংসতা স্বরূপ ও নির্বাচন কে বিতর্কিত করতে গত ৩ নভেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জিন্নাহ পাঞ্জাবি মার্কা তৃতীয় স্থান অধিকারী কাউন্সিলর প্রার্থীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী প্রতিপক্ষ বিজয়ী কাউন্সিল প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই ও তার লোকজনের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাদেরকে গুরুতর আহত করে এবং বাড়ী ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় ৪ জন কে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত হলেন বীর আদিয়ারপাড়ার বাসিন্দা মৃত বছির আকন্দের ছেলে আমজাদ হোসেন (৬৫), দিলারেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত নজির সরকারের ছেলে মাহফুজুল( ৪২), জুয়েল (৫০) ও হাজরাবাড়ী সিরাজুল হক ডিগ্রি কলেজের ছাত্র এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মো. রাজু (২০)। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। আহতরা হাড়ভাঙা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত ৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে তিন টার দিকে ৬নং ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিল প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের ২ ভাইসহ কয়েকজন ঘটনার দিন অটোযোগে হাজরাবাড়ী বাজারে যাওয়ার পথে বীর আদিরপাড়া মোড়ে পৌঁছলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উপর কাউন্সিল প্রার্থী বীর আদিয়ারপাড়া বাসিন্দা মৃত ছাইরুলের ছেলে মো. জিন্নাহ ও তার সমর্থক বাদশা,সোনা মিয়াসহ অজ্ঞাত ২০/ ২৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের দুই ভাইসহ তাদের কয়েকজনের উপর অতর্কিত হামলা চালালে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে এবং এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবি করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।