স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রেখে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গকে সংবিধানে বর্ণিত নিজস্ব পরিধিভুক্ত থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যেতে হবে।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সংবিধানের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এই দিনে আমাদের বাংলাদেশের সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। এই সংবিধানকে পরিপূর্ণভাবে কার্যকর করার দায়িত্ব বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর ন্যস্ত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের মধ্য দিয়ে অর্থবহ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের কাজ যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই সংবিধান সুরক্ষিত ও সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সদাসচেতন থাকতে হবে। সংবিধানের সুফল বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে আমরা যেন অঙ্গীকার করি। এই সংবিধান তখনই স্বার্থক হবে যখন বাংলার মানুষ ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বঞ্চনা ও বৈষম্য থেকে মুক্ত হয়ে উন্নত জীবন পাবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সংবিধানের আলোকে আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের উন্নয়ন এবং কার্যকর ভূমিকার মধ্য দিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রের অব্যাহত অগ্রযাত্রা সুসংহত ও নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে আইনের শাসন সমুন্নত হবে। মৌলিক মানবাধিকার সংরক্ষিত হবে। দারিদ্র্য, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে। এই হোক প্রত্যয়।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম প্রমুখ।