মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের কুঞ্জুনগর গ্রামে স্বামীর ঘর থেকে সাবিনা খাতুন (৩২) নামের এক নব-বধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর লাশ উদ্ধারের ৩ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশের একটি বাঁশবাগান থেকে স্বামী বিদ্যুত হোসেনের বিবস্ত্র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাবিনা কুঞ্জুনগর গ্রামের বিদ্যুত হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার কুমারীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। নিহত বিদ্যুত হোসেন (৪০) কুঞ্জুনগর গ্রামের হুদাপাড়ার মৃত ওলিমুদ্দীনের ছেলে। ২৬ অক্টোবর বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পৃথক স্থান থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশের দু’টিদল। স্বামীর ঘর থেকে নব-বধূ সাবিনার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এবং বাড়ির ২শ গজ দূরে একটি বাঁশবাগান থেকে বিদ্যুত হোসেনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুত ও সাবিনার গত ১ মাস আগেই পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয়। বিদ্যুত হোসেনের যৌন অক্ষমতার কারণে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য চলছিল । তাছাড়াও বিদ্যুত হোসেনকে শারীরিক ভাবে দেখতে অনেকটা রোগাকান্ত। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানোমালিন্য চলছি। মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে সাবিনার বাবার পরিবারের লোকজন তাদের মনোমালিন্য বিষয়টি মিমাংসা করতে শান্তনা দিয়ে চলে যায়। বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা স্বামীর ঘরে সাবিনার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। ধারণা করা হচ্ছে,সাবিনার স্বামী বিদ্যুত হোসেন তাকে হত্যা করে পালিয়ে গেছেন। এদিকে,সাবিনার লাশ উদ্ধারের ৩ ঘণ্টার পর বিদ্যুত হোসেনকে তার বাড়ির একটি বাঁশবাগানের সাথে গলায় লুঙ্গি পেঁচানো বিবস্ত্র ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পথচারীরা। খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশ তাদের দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি ধারণা করেছেন,বিদ্যুত হোসেন তার স্ত্রী সাবিনাকে হত্যার পর নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। এদিকে মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) অপু সরোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাশা দুটি লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নবচেতনা/আতিক