মাননীয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক, এমপি বলেছেন, ইপিজেডের শ্রমিক কল্যাণ সমিতিসমূহ শ্রমিকদের আইনগত অধিকার রক্ষায় যথাযথ এবং শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করছে।
গত ২০ অক্টোবর ইপিজেড পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার “বাংলাদশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯” প্রণয়ন করেছে যা ইপিজেড অনুকূল, নিরাপদ এবং শোভন কর্মক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তিনি বলেন, এই শান্তিপূর্ণ কর্মপরিবেশে বিনিয়াগকারীগণকে কারখানা প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করবে। কর্মচাঞ্চল্যের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখায় তিনি ইপিজেড এর শ্রমিকদের প্রশংসা করেন।
তিনি বিনিয়াগ আকর্ষণ, পণ্যের বচিত্র্যায়ন এর দ্বারা রপ্তানি বদ্ধি, কর্মসংস্থাপন সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়ন প্রভূতির মাধ্যম দেশের বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ইপিজেডের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি আশা করেন, শ্রমিক, বিনিয়াগকারীগণ এবং বেপজার সম্মিলিত এ প্রচষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
“বাংলাদশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯” এর বাস্তবায়নের পাশাপাশি ইপিজেডে বিদ্যমান সহার্দপূর্ণ কর্মপরিবশ এবং শ্রমিক-মালিক-ব্যবস্থাপনার ঐকতান প্রত্যক্ষ করার জন্য আইনমন্ত্রী ঢাকা ইপিজেড সফর করেন।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, এনডিসি, পিএসসি আইনমন্ত্রীকে বেপজার সার্বিক কর্মকান্ড, রপ্তানি, বিনিয়াগ ও কর্মসংস্থান, শ্রম অধিকার, শিল্প সম্পর্ক, শোভন কর্মপরিবেশ প্রভূতি সম্বন্ধ অবহিত করেন। তিনি ইপিজেড শ্রম আইন ২০১৯ এবং শ্রম বিধিমালা ২০২২ প্রণয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য আইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বেপজার সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি হল বেপজার বিনিয়াগকারী এবং শ্রমিক। ইপিজেড বিদ্যমান শান্তিপূর্ণ কর্মপরিবশর কথা উল্লেখ করে তিনি আশা করেন ইপিজেড শ্রম আইন এবং শ্রম বিধি পুরা বাস্তবায়নের মাধ্যম কর্মপরিবেশ আরও অনুকূল ও শোভন হবে।
পরবর্তীতে তিনি বিদেশি মালিকানাধীন তিনটি পোশাক কারখানা ঘুরে দেখেন- এগুলা হলো ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডর মালিকানাধীন মেসার্স হেপইক বিডি. লিমিটেড, জাপানি কোম্পানি মেসার্স ওয়াইকক (বিডি) পিটিই লিমিটেড এবং যুক্তরাজ্য মালিকানাধীন শান্তি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তিনি উক্ত কারখানাগুলোর উৎপাদন প্রক্রিয়া, কর্মপরিবশ এবং ডে কেয়ার সেন্টার পরিদর্শন করেন। এছাড়াও তিনি শ্রমিকদর স্বাস্থসেবা প্রত্যক্ষ করতে ঢাকা ইপিজেড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠান অন্যান্যের মধ্যে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়র সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মাঃ মইনুল কবির, বেপজার সদস্য (বিনিয়াগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর, নির্বাহী পরিচালক (এটারপ্রাইজ সার্ভিসস) মো. খুরশীদ আলম, নির্বাহী পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্ণেল এএসএম কামরুজ্জামান, পিবিজিএম, নির্বাহী পরিচালক (ঢাকা ইপিজেড) মো আব্দুস সাবহান, বিনিয়াগকারীগণ, শ্রমিক প্রতিনিধিবৃন্দ এবং ঊর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের পর দশম দ্বিতীয় বৃহত্তম ইপিজেড হিসেবে সাভারের গণকবাড়ী এলাকায় ১৯৯৩ সাল ঢাকা ইপিজেড স্থাপিত হয়। বর্তমান ঢাকা ইপিজেডে ৯০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান চালু আছে যেখানে বিনিয়োগ হয়েছে ১৬৯১.৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ঢাকা ইপিজেডে ৭৮,০৩৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকর কাজের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি মোট রপ্তানি করেছে ৩৩,০৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যর পণ্যসামগ্রী।