মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর কাজে বাধা দিলে বা অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
সামরিক অভ্যুত্থানের নেতাদের প্রতি ঘৃণা বা অবজ্ঞা প্রকাশ করতে যারা প্ররোচিত করবেন তাদের দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওয়েবসাইটে সোমবার প্রকাশিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি শহরে পুলিশের টহল গাড়ি বের হওয়ার পরই আইনি পরিবর্তনের এই ঘোষণা দিল সেনাবাহিনী।
সম্প্রতি হাজার হাজার লোক অংশ নিয়েছে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অং সান সুচিসহ তাদের নির্বাচিত নেতাদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি এবং দেশটিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের দমাতে আইনের বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। নতুন আইনে বলা হয়, যারা লিখে বা মৌখিকভাবে কোনো কাজের মাধ্যমে বা সশরীরে উপস্থিত হয়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ মেয়াদী জেল বা অর্থদণ্ড দেয়া হবে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওয়েবসাইটে বিবৃতিতে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজে বাধাদানকারীদের ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। এছাড়া যারা মানুষের মধ্যে ভয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন, তাদের তিন থেকে সাত বছরের জেল হতে পারে।
সোমবার সুচির আইনজীবী খিন মং জ বলেছেন, তিনি আরও দুদিন আটক থাকতে পারেন। বুধবার রাজধানীর নেপিদোর একটি আদালতে তিনি ভার্চুয়ারি যুক্ত হতে পারেন।
১ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্রেপ্তার হন সুচি তবে ১৫ ফেব্রুয়ারি বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তার নিরাপত্তাকর্মীরা অবৈধভাবে ওয়াকি-টকি ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত নভেম্বরে সুচির দল নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। কিন্তু কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভোটে কারচুপির অভিযোগ করেছে সামরিক বাহিনী।