বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অর্জনের পাল্লা, সুনামের খাতা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সময়ে সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো একেএম আজিজুর রহমান মিয়ার মতো মানবিক পুলিশ অফিসার। বলছি লক্ষ্মীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজিজুর রহমান মিয়ার কথা। যিনি দেড় বছরে ১৩ বার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তার নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যাচ্ছেন লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ সদস্যরাও। করোনা কিংবা কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে পৃথিবী যখন অচেনা। পূর্ব থেকে পশ্চিম কিংবা উত্তর থেকে দক্ষিণ, পুরো গ্রহটাই যেন লন্ডভন্ড। ছোঁয়াচে এক অদৃশ্য জীবাণুর কারণে সবাই ভয়ে তটস্থ। আপন মানুষগুলোও যেন পর হয়ে গেছে। প্রিয়জনও দূরে সরে গেছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রমও রয়েছে। মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এএইচ এম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে কাজ করে চলেছেন তিনি। শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্যদের। ভালোবাসায় মুগ্ধ হন সাধারণ মানুষও। থানায় আসা একব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি জানান, সম্প্রতি আমার বাড়ির একটা সমস্যা নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। সমস্যা সমাধানে স্যারের আন্তরিকতার কোন অংশে কমতি ছিল না। আমার দেখা পুলিশ অফিসারের মধ্যে সেরা এই স্যার। যদি বলি একজন মানবিক অফিসার, যদি বলি একজন নিষ্ঠাবান অফিসার, যদি বলি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ, সব বিশেষণ স্যারের সঙ্গে মিশে আছে। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে। লক্ষ্মীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আইনের সেবক হয়ে জনতার সাড়িতে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাবো, প্রতিটি মানুষ আমাকে খুব কাছ থেকে পাবে এবং তাদের সমস্যার কথা গুলি বলতে পারবে ঠিক তেমন ভাবে আমি লক্ষ্মীপুর বাসির জন্য কাজ করব।