যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পাঁচ দিন কমার পর ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জে ৪ সে.মি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ায় যমুনার অরক্ষিত ও চরাঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলী জমিসহ বহু স্থাপনা। নিঃস্ব হচ্ছে শতশত পরিবার। গাছপালা বিলীন হওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬১ মিটার। গত ঘণ্টায় ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ২৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)।
অন্যদিকে, কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২৪ মিটার। এ পয়েন্টে নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ৫৬ মিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)।
এদিকে, পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলার চর, কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ী, শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর, কৈজুরী ও আড়কান্দিতে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়লেও এক সপ্তাহ পর কমতে থাকে। এরপর ১৮ জুন থেকে আবারও দ্রুত বাড়তে থাকে যমুনার পানি। টানা পাঁচ দিন বাড়তে থাকার পর ২২ জুন থেকে কমতে শুরু করে। ২৭ জুন স্থিতিশীল থাকার পর ২৮ জুন আবারও পানি বেড়েছে। পানি কমা এবং বাড়ার সাথে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এরমধ্যে শাহজাদপুরে অঞ্চলের ভাঙনে জিওব্যাগ ফেলে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। চরাঞ্চল ভাঙনে কোন প্রকল্প না থাকায় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ভাঙনে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পাশাপাশি জরুরী বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে চরাঞ্চলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।