ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার রাসেল হোসেন (২২) ও পূর্ণিমা খাতুন (১৮)। বিয়েতে তাদের দুই পরিবারের সম্মতি না থাকায় নানা অশান্তি লেগেই ছিল। শেষে সালিশ বৈঠকে বসে উভয়ের পরিবার। সেখানে খোলা তালাকের মাধ্যমে দুজনের বিচ্ছেদ ঘটানো হয়। এর পরদিনই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পূর্ণিমা। বুধবার (২৬ জুন) সকালে তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের গুড়মা গ্রামে বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দেন পূর্ণিমা। তিনি ওই গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গুড়মা গ্রামের মুঞ্জিল হকের ছেলে রাসেল হোসেনের (২২) সঙ্গে প্রতিবেশী মো. শহিদুল ইসলামের মেয়ে পূর্ণিমা খাতুনের (১৮) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় এক বছর আগে তারা পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করেন। কিন্তু এ নিয়ে উভয় পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদে জড়াতেন নবদম্পতি। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে গ্রামের প্রধান ও লোকজন উভয় পরিবারের সম্মতিতে এক সালিশ বৈঠকে বসে। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর অসম্মতি সত্ত্বেও দেড় লাখ টাকায় খোলা তালাকের মাধ্যমে তাদের বিচ্ছেদ ঘটানো হয়। বুধবার (২৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে পূর্ণিমা খাতুন তার বাবার বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হাবিলুর রহমান হাবিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।