![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
গাজীপুরের শ্রীপুরে ১৪ বছরের এক গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে ফিজিওথেরাপিষ্ট ফরহাদ উজ্জান (৩৭) নামের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রোববার সকালে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে নারী ও শিশুনির্যাতন আইনে মামলা রুজু করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন পুলশ। এর আগে শনিবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার মার্কাজ মসজিদ সড়ক কাঁচা বাজার এলকার নিজ বাসার চেম্বার থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী ফরহাদ উজ্জান (৩৭) পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের আবুল হাসেমের ছেলে। তিনি একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক। ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর (১৪) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবা একজন রিকশাচালক। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহকর্মীর মা বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রীপুরে ভাড়া থেকে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার স্বামী একজন রিকশাচালক। গত দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর সে আমার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে তাদের বাসার কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তখন আমি বেতন ঠিক করে মেয়েকে তাঁর বাড়িতে কাজ করতে পাঠাই। এর কিছুদিন যাওয়ার পর অভিযুক্ত ধর্ষক সুকৌশলে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে তার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত তার বাসায় ও চেম্বারে নিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে আমি ও আমার স্বামী গিয়ে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরপরই আমার মোবাইল নম্বরে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে মেয়েকে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর একদিন পর আমার এক আত্মীয় ফোন করে জানায় মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এরপর আমি থানায় এসে পুলিশকে জানালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে আমি এর সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন ,ধর্ষণের ঘটনায় এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। ওই মামলায় গ্রেফতারকৃত চিকিৎসককে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।