সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একই জমিতে বিভিন্ন সাথী ফসলের চাষাবাদ করে সফলতার সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পরার্মশ ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তারা বিশেষ করে আখ চাষে ভালো আয় করছেন বলে জানায় কৃষকরা। জানা গেছে, উল্লাপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে কয়েক বছর আগেও উঁচু এবং নিচু অনেক জমি পতিত থাকতো। এসব জমিতে তেমন কোনো ফসল ফলতো না। এই জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে মাঠে নামে কৃষি বিভাগ। তারা কৃষকদের পতিত জমিতে লাভজনক সাথী ফসল চাষাবাদের পরার্মশ ও সহযোগীতায় দেন। কৃষকরা পরার্মশ পেয়ে এসব জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন। এ চাষাবাদ প্রক্রিয়ায় তারা জমিতে একসাথে আখ, আলু, পেঁয়াজ, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, মরিচ সহ নানা ধরনের সবজি লাগান। প্রথমদিকে সবজি বড় হলে তা তুলে বিক্রি করা হয়। এরপর সেই জমিতে লাগানো আখ বড় হতে থাকে। পরর্বতীতে পুরো জমি আখে ভরে যায়। তখন কৃষকরা আখ কেটে বিক্রি ও গুড় তৈরি করেন। এভাবে পতিত জমিতে অল্প খরচে একবার চাষাবাদ করে বছরজুড়ে নানা রকম সবজি এবং আখ বিক্রি করা হচ্ছে। এ চাষাবাদে অন্য ফসলের চেয়ে কয়েকগুন বেশি লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এখন উপজেলাজুড়ে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে সাথী ফসলের চাষাবাদ। সরেজমিনে দেখা গেছে, উল্লাপাড়া উপজেলার বাঙ্গালা এবং রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন মাঠে এ চাষাবাদ এখন বেশি হচ্ছে। শিমলা মোড়দহ গ্রামের মাঠে দেখা যায়, আখ ভর্তি জমিতে কাজ করছেন কৃষক মাসুদ রানা। তিনি জানান, গত কয়েক বছর ধরে প্রায় দেড় বিঘা জমিতে সাথী ফসলের চাষাবাদ করছেন। এখন তার জমিতে ফিলিপাইনের কালো আখ, রাঙ্গাবালীসহ তিন ধরনের আখ রয়েছে। এসব আখ অল্পদিনের মধ্যেই আখ কেটে বিক্রি করবেন। একই জমি থেকে তিনি আলু তুলে বিক্রি করেছেন। তাতে তার পুরো চাষাবাদের খরচ উঠে গেছে। এখন আখ বিক্রি করে তার প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভবান লাভ হবে। মুকুল সর্দার নামে আরেক কৃষক জানান, তিনি সহ অনেকেই সাথী ফসল চাষাবাদে এখন অনেক টাকা আয় করছেন। উল্লাপাড়া কৃষি কর্মকতা সুর্বণা ইয়াসমিন সুমি জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে অনাবাদি, পতিত জমির তালিকা করে সেগুলো চাষাবাদের আওতায় আনতে কৃষকদের সহযোগীতা ও পরার্মশ দেওয়া হচ্ছে।