নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ সরকার এবার গরিবের আমিষ খ্যাত ডিমের বাজারও নিয়ন্ত্রনে পরিপূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে ডিমের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে কোন এক অদৃশ্য শক্তির কালো থাবায় ডিমের মুল্য নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, প্রতিদিনের চাহিদার চেয়ে বেশী ডিম উৎপাদন হলেও কৃত্তিম সংকট তৈরী করে সরকারী দলের পৃষ্টপোষকতায় ডিম সিন্ডিকেট ডিমের মূল্যবৃদ্ধি করে প্রান্তক জনগনের পকেট কেটে লুটপাট করছে। ডিমের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ডিমের বাজারে বার বার অস্থিরতা সৃষ্টির ফলে কেবল নিম্নবিত্তই নয়, মধ্যবিত্তও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সামর্থ্য না থাকায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন মাছ-মাংস কিনতে পারছেন না। বস্তুত যারা পুষ্টির জন্য ডিমের ওপর নির্ভরশীল, তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারী দলের লুটেরা গোষ্টির মদদে ডিমের বাজারে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করছে সরকারী দলের নেতারাই। তারা ভোক্তার পকেট কাটতে আলুর হিমাগারে অবৈধভাবে মজুত করছে ডিম। রাতারাতি সরবরাহ কমিয়ে অস্থির করা হয়েছে বাজার। শক্তিশালী চক্রটি প্রতিদিন আড়ত পর্যায়ে এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের বাড়তি দাম নির্ধারণ করছে। অথচ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরে যাক যাক, তাতে তাদের কি ? তারা শুধু আজিজ-বেনজির-মতিউর সৃষ্টিতে ব্যাস্ত। তারা আরো বলেন, ডিমের বাজারে শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে এটি দিবালোকের মত স্পষ্ট। গত বছরও মুল্যবৃদ্ধি করলে তদারকি সংস্থা তাদের ডেকেছিল, কিন্তু অপরাধি কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই, করতেও পারে নাই। তাই এবারও তারাই ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। সিন্ডিকেটের মধ্যে ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ও করপোরেট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জড়িত। তারা চাইলে মূল্যবৃদ্ধি করে দেয়। আবার তারা তাদের ইচ্ছাতেই মূল্য কমিয়ে দেয়। প্রান্তিক খামারিরাও এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়।