বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের বয়রা পুলিশ লাইনে অস্ত্রাগারের ভবন মাল্টিপারপাস ভবন, বৈদ্যুতিক উপ-কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন,বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি, মাল্টিপারপাস শেডসহ বিভিন্ন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনার শুভ উদ্বোধন ও পরিদর্শন শেষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে (আইজিপি)বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে চলেছে। পুলিশের কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়েও তদন্ত চলছে। পরীমনি, সাকলায়েনদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম মহোদয় বলেন, সকল অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে চলে। অভিযোগ গুলো প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি আরও এ সময়ে বলেন, খুলনা অঞ্চল সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম ছিল একদিন সে সময়ে খুলনাসহ দেশের মানুষের বাংলাদেশ পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ২০৪১ মধ্যে সালের স্মার্ট পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অবকাঠামোগত যৌক্তিক উন্নয়ন ও লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের সেবাকে সহজীকরণ এবং জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। খুলনার জেলা পুলিশ লাইনে নবনির্বিত সার্ভিস ব্লক এবং কেএমপি পুলিশ অফিসার্স মেস উদ্বোধন করা হয়েছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের অবকাঠামগত উন্নয়ন, আবাসন সমস্যার সমাধান, নান্দনিক পরিবেশে অবস্থান, সার্বিকভাবে অত্র মহানগরের এবং জেলার পুলিশের সেবার মানকে সমুন্নত করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্বপ্নের সোনার বাংলায় সোনার গড়ার পুলিশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আমরা তা বাস্তবে রূপ দিতে চাই। সরকার যেমন পুলিশের জনবল বৃদ্ধি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে যত্নশীল, আমরা পুলিশ বাহিনীও তেমনি জনগণকে সেবার মাধ্যমে তার প্রতিদান দিতে চাই। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়ভাবে সফল হয়েছে। তাই জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশ এখন বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ সময়ে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার) পিপিএম-সেবা পিটিসি, খুলনার ডিআইজি (কমান্ড্যান্ট) মোঃ নিশারুল আরিফ, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, বিপিএম (বার) পিপিএম অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডএফ) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিঃ দায়িত্বে ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, খুলনা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিপিএম-সেবা, কেএমপি’র ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সবৃন্দরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।