লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর তৎকালীন টিনের বাজারের ব্রিজ বেশ কয়েকটি স্থানে ধসে এক যুগ পেরিয়ে গেছে। সেতুটির কোনো নির্মাণ বা সংস্কার এখনো হয়নি। ফলে ওই এলাকার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারাপার হতে হয়। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান। তাই দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর। সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে সেতুর গুরুত্বপুর্নএক্সে দুটি অংশ ধসে পড়েছে। কিছু অংশ আবার ভাঙতে চলেছে। ফলে সেতুর বিভিন্ন অংশ ৩০ বারের বেশি ধসে পড়ছে। স্থানীয়ভাবে ধসে পড়া জায়গাগুলো অস্থায়ী লাইনিং দিয়ে মেরামত করা হলেও বারবার ভেঙে যাচ্ছে। এই সেতুর দক্ষিণে একটি বিকল্প সেতু রয়েছে, তবে এটিও জরাজীর্ণ ও বিপজ্জনক। এছাড়া বিকল্প রাস্তা না থাকায় স্থানীয় জনসাধারণ, ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা ভাঙা সেতু ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। এত বছর হলেও দেখার কেউ নেই। স্থানীয়রা জানান, সোনাপুর বাজার খুবই অতিহ্যবাহী বাজার। সোনাপুর দক্ষিণ বাজার, উত্তর বাজার, হদুল বাজার, বড় মিয়া সাহেব মসজিদ, মোরগ বাজার, ওয়াপদা রোডসহ সোনাপুর গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করে। এ ছাড়া প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। কিন্তু সেতুর অংশ ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে সবাইকে। সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ী রঞ্জন সাহা জানান, ধসের পর মাঝেমধ্যে স্থানীয়দের সহায়তায় মেরামত করা হয়। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসা-যাওয়া করে। দিনের বেলায় যে কোনোভাবে চলাফেরা করা সম্ভব, কিন্তু রাতের অন্ধকারে চলাচল করা খুবই কঠিন। সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা হোসেন বলেন, মেয়র, স্থানীয় কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখতে এসেও কোনো কাজ হয়নি। কয়েক মাস আগে পৌরসভার মেয়র এসে দেখে ব্রিজটি শীঘ্রই সংস্কার হবে বলেন, কিন্তু এখনও কেন তা হচ্ছে না আমরা বুঝতে পারছি না। বর্তমানে সেতুটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অনেক সময় সেতু থেকে পড়ে মানুষ আহত হয়। অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, সাইকেল চলাচল করতে গিয়ে আটকে যায়। সেতুর বেহাল দশার কারণে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় আরও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সোনাপুর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মাল বলেন, বর্তমানে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পৌরসভার মেয়র ব্রিজটি শিগগিরই সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি। পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী বলেন, গত বছর এটি ও উত্তর বাজারে আরেকটি সেতু নির্মাণের কাজের প্রক্রিয়া চলমান। আমরা খুব শিগগিরই এ দুটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করব।