রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ-থানার উপপরিদর্শক নকীব অয়জুল হক আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড নামঞ্জুর এবং জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা চৌধুরী হিমেলের আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান (২৪) এবং এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার মো. সেলিম হাওলাদার (৫৪) ও ম্যানেজার মো. ফারুক খান (৭৬)।
ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঈদের দিন সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে এ দুর্ঘটনায় পাঁচজন মারা যান। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন।
তারা হলেন- মো. বেলাল, তার স্ত্রী মুক্তা ও তাদের শিশুসন্তান মাইসা। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। নিহত অন্য দুজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।
এদিন রাতে ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) ইসমাইল হোসাইন বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে অবহেলা জনিত বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালিয়ে মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়া, এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি ফারহান-৬ লঞ্চ দুটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।