ভারত বর্ষের ত্রিপুরা রাজ্যসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটকা পড়া ১৩ বাংলাদেশী নাগরিক নিজ দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (২৩এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের শূণ্য রেখায় ভারতের ত্রিপুরায় নিযুক্ত সহকারী হাই-কমিশনার ওমর শরিফ তাদেরকে আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)এসএম রাহাতুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ (ওসি) মোঃ খায়রুল আলমসহ বিজিবি ও বিএসএফ এর উপস্থিতিতে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। হস্তান্তর করা ১৩ বাংলাদেশীরা হলেনঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নাহিদা আক্তার, ফয়েজ ইসলাম ও ফাইজা শেখ। এবং রাউজান উপজেলার রুবেল কুমার নাথ,রাজিব বিস্বাস, শংকর দে, জয় দাস, সঞ্জয় দাস,উলাস দাস, দ্বীপক দাস, পান্থ দাস,রোমান ঘোষ, রুবেল ঘোষ। পরিবার ও হাইকমিশনার সূত্র জানায়,দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে ১৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গিয়ে পুলিশের কাছে আটক হয়। এরপর ভারতের আদালতের নির্দেশে তারা প্রাপ্ত সাজা ভোগ করেন। সাজা শেষে তাদের প্রত্যেকের নাগরিকত্ব যাচাই করা হয়। এরপর স্বরাষ্ট ও পরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী যোগাযোগ করে তাদেরকে দেশে ফেরার জন্য ভারত সরকারের অনাপত্তি পত্র সংগ্রহ করে আগরতলায় নিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার। বাংলাদেশ নিযুক্ত ভারতের ত্রিপুরার সহকারী হাই-কমিশনার ওমর শরীফ বলেন, আজকে যে ১৩ জন বাংলাদেশী নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত দিয়েছি। তাদের মধ্যে ৩ জন দীর্ঘদিন অবৈধ ভাবে ভারতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত, বাংলাদেশে ফেরার পথে বিএসএফ এর হাতে আটক হয়। বাকী ১০ জন নাগরিক খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে বিনা পাসপোর্টে অবৈধভাবে ভারতের ডুমরো মেলায় যাওয়ার জন্য ভারতে প্রবেশ করে। এবং একসময় ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলাসহ বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। পরে আদালতের দেওয়া রায় অনুযায়ী কারাভোগ শেষে তাদেরকে নরশিংগড় সিকিউরিটি হোমে রেখে, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর যাবতীয় কাগজপত্রাদির প্রক্রিয়া শেষে আজকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এসময় পরিবারের লোকজন তাদেরকে ফিরে পেয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।