সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফরিদপুরের চারটি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন (নৌকা প্রতীক) ঘোষনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে দলের সভাপতি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত পত্রে রোববার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে বঙ্গবন্ধু এভিউনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এসকল মনোনয়নকারিদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ফরিদপুরের চারটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন বোয়লামারী, আলফাডাঙ্গা ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান। নগরকান্দা ও সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী ওরফে লাবু। ফরিদপুর সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। একই সাথে সারা দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে কুষ্টিয়া ২ এবং নারায়নগঞ্জ ৫ আসন বাদে মোট ২৯৮ টি আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন কারিদের নাম ঘোষনা করা হয়। বাকি এই ২ টি আসনের মনোনয়ন পরবর্তিতে জানানো হবে বলে ঘোষনা দেওয়া হয়। এদিকে ফরিদপুরের চারটি আসনেই একাধিক আওয়ামিলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতৃবৃন্দ দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে ছিলেন। কিন্তু রোববার ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে চূড়ান্ত ভাবে এই চারজনকে আওয়ামিলীগের (নৌকা প্রতীক) মনোনয়ন দেওয়া হয়। বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করারই সম্ভাবনা বেশি থাকায় এই নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের জয় জয়কার ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার নির্বাচনে আওয়ামিলীগের কোন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবেনা বলে জানাগেছে। তবে কিছু ত্যাগী নেতারা তাদের দলীয় পদ বিসর্জন দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলেও জানাগেছে। এই ক্ষেত্রে ঐ সকল আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দীতা হতে পারে। এছাড়াও জাতীয় পার্টিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরাও এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানাগেছে। ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ নভেম্বর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগামী ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাছাই, ১৭ নভেম্বর প্রত্যাহারের শেষ দিন, ১৮ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।