পটুয়াখালীর বাউফলে বিয়ের অনুষ্ঠানে সালাদ না দেওয়ার ঘটনা কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিরাজুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে মতি হাওলাদার, ফিরোজ ও সালেহাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আর জিসান, খালেক হাওলাদার ও মালেকসহ সাতজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, কুম্ভখালী গ্রামের মো. নিজাম মিয়ার ছেলে মো. মেহেদী হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের বকু ফকিরের মেয়ের বিয়ে হয়। মঙ্গলবার ছেলে পক্ষ বরযাত্রী নিয়ে মেয়ের বাড়ির অনুষ্ঠানে যায়। এর পর খাবার টেবিলে মাছ মাংস পোলাও দিলেও সেখানে সালাদ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মেয়েপক্ষের সঙ্গে ছেলেপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। বগা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে নেয়। আহতদের মধ্যে রফিক ও মিজান নামের দুজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিয়েবাড়িতে সালাদ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।