ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে। দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।যদিও সরকারি হিসাবে এই মৃতের সংখ্যা ৯ জন বলে দাবি করা হচ্ছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডবচালায়
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে নৌকাডুবি ও সৃষ্ট ঝড়ে গাছ পড়ে চট্টগ্রামেরমিরসরাইয়ে আটজন, ভোলায় চারজন, কুমিল্লায় একই পরিবারের তিনজন, টাঙ্গাইলে তিনজন, মুন্সীগঞ্জে দুইজন, গোপালগঞ্জে দুইজন, সিরাজগঞ্জে দুইজন, কক্সবাজারে দুইজন এবং নড়াইল, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, গাজীপুর, ঢাকা ও বরগুনায় একজন করে মারা গেছেন।
সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৯: বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া হিসাবে মৃতের সংখ্যা বেশি দেখালেও সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা নয়জন বলে দাবি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এই দাবি করেন।
এনামুর রহমান বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে নয়জনের প্রাণহানি হয়েছে। এরমধ্যে আটজন মারা গেছেন ঘরের ওপর গাছ পড়ে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ লাখ মানুষকে নিয়ে আসা হয়, যারা ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরেছেন জানান তিনি।
এনামুর রহমান বলেন, ছয় হাজার হেক্টর কৃষিজমি ও এক হাজার চিংড়ির খামারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের জন্য টিন ও নির্মাণ শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হবে।
নবচেতনা
[.....]