জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সৌন্দর্য ও সমস্যা নিয়ে ‘কে ভালবাসে ক্যাম্পাসকে’ এই শিরোনামে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দৈনিক নবচেতনার প্রতিনিধি আবু ইসহাক অনিকের ধারাবাহিক পাঁচ পর্বের আলোচনার আজ প্রকাশিত হল প্রথম পর্ব।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একইসাথে বিশোর্ধ অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে প্রকল্পগুলোতে চলছে পাইলিংসহ ভিন্ন ভিন্ন ধাপে নির্মাণযজ্ঞ। যত্রতত্র গড়ে উঠেছে বালুর টাল। যার কারণে রাস্তাঘাটের দুরাবস্থাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। একইসাথে মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণে নিদারুণ যন্ত্রণায় জীবন যাপন করছে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠের সংস্কার কাজ প্রায় একবছর যাবত শুরু হলেও দীর্ঘসূত্রিতার কারণে বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন। যার প্রতিফলন ঘটছে বিভিন্ন আন্তবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টে বিশ্ববিদ্যালয় টিমের ভরাডুবিতে, যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সে।
সতেরো বছর পেরিয়ে আঠারো বছরে পদার্পণ করলেও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো এখনও রয়েছে বেহাল অবস্থায়। অভ্যন্তরীণ কোনো সড়কেই সন্তুষ্ট নয় শিক্ষার্থীরা। সময়ে সময়ে মালবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন মাটির রাস্তায় চললে শব্দের পাশাপাশি অনেকটাই ধুলিঝড়ের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে ধুলাবালির সমস্যা কিছুটা কমলেও কাঁদামাটিতে নতুন এক সমস্যার সৃষ্টি হয়। কাঁদার জন্য হাঁটা যায় না তখন।
বৃষ্টির মৌসুম এলেও এখন পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার দৃশ্যমান নয়। বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের বেলায় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে যতটা তোরজোর শুরু হয়, ততোটা যদি ক্যাম্পাসের স্বার্থে ক্যাম্পাসের উন্নয়ন নিয়ে হতো তাহলে আমাদের ক্যাম্পাস কখনোই এত পিছিয়ে থাকতো না।
এই বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার বলেন, যত্রতত্র বালু না রেখে নির্ধারিত জায়গায় রাখা উচিত। আমাদের একটাই মাঠ, তাই তাড়াতাড়ি খেলার উপযোগী করা উচিত।
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, কাজ চললান থাকায় সমস্যা একটু হবেই। আমরা চেষ্টা করব কিছুটা ঠিক করার জন্য।