বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে (শজিমেক) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ৮ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে শজিমেক ছাত্রাবাসে এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ধ্রুব, অনিক, শুভ, হৃদয়, ইমতিয়াজ, রেজা, ফুয়াদ ও অমি। এদের মধ্যে ধ্রুব, অনিক, শুভ ও হৃদয় শজিমেক শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আসিফের অনুসারী এবং ইমতিয়াজ, রেজা, ফুয়াদ ও অমি সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন রনির অনুসারী। জানা যায়, নতুন শিক্ষার্থীদের নিজেদের গ্রুপে নেওয়ার জন্য কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে আধিপত্য বিস্তারে রাত ১০টার দিকে কলেজ ছাত্রাবাসে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষ রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে। এ সময় ছাত্রাবাসের নিচতলায় ৫টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর আসিফ বলেন, জুনিয়ররা ক্যাম্পাসে আসার পর তাদের থাকা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তবে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আমার কর্মীদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে ৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষের সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। অপরদিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন রনি বলেন, সভাপতির নির্দেশে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরে শিক্ষকরা এসে উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা করে দিয়েছেন। জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এর সূত্রপাত হয়েছে। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমার ৪ কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। বগুড়া ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক আনিছার রহমান বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বুধবার রাতে সংঘর্ষ হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। এই ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।