বগুড়ায় নমুনা প্রতীকের সাথে ব্যালট পেপারের প্রতীকের মিল না থাকার ঘটনার সদরের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে বরখাস্তের খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন। এর আগে সকালে সদরের ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থী ইফতারুল ইসলাম মামুন নামের এক প্রার্থী অভিযোগ তোলেন, প্রতীক বরাদ্দের দিন কাঠিওয়ালা আইসক্রিমের ছবি দেওয়া হয়৷ সেই প্রতীক নিয়েই তিনি প্রচারণা চালান। কিন্তু আজ ভোট শুরু হওয়ার পর দেখলাম ব্যালটে বরাদ্দ প্রতীকের সাথে মিল নেই। সেখানে কুলফি আইসক্রিম দেওয়া হয়েছে। এতে ভোটাররা তার প্রতীক চিনতে পারছে না। তিনি নির্বাচন অফিসে গিয়েও কাউকে পাননি। এরপর নির্বাচন কমিশন থেকে বেলা ১১টার পর নমুনা প্রতীকের সঙ্গে ব্যালট পেপারের প্রতীকের মিল না থাকায় সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের (পুরুষ) ভোটগ্রহণ স্থগিত করার কথা জানা যায়। এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার সদর উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আবু ছাইদকে একাধিকবার কল করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জানতে চাইলে সদর ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফিরোজা পারভীন জানান, বিষয়টি আমরাও শুনতে পেয়েছি। নির্বাচন কমিশন থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও কোনো লিখিত নির্দেশনা আসেনি। জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, আপনারা যতটুকু জেনেছেন আমিও ততটুকু জানি। এখনও অফিসিয়াল চিঠি পাইনি। বরাদ্দ প্রতীকের সাথে ব্যালট পেপারে প্রতীকের মিল না থাকায় সদর উপজেলার পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যানের ভোটগ্রহণ স্থগিতের ঘটনায় এই বরখাস্ত করা হয়।