বগুড়া ধুনটে নদী খননের কথা বলে সেনাবাহিনীর নাম ভাঙিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন এবং বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। এতে একদিকে ফসলের ক্ষতি অন্যদিকে ১০চাকার বড় ট্রাকে অতিরিক্ত বালু পরিবহনের কারনে নিমগাছি টু বগুড়াগামী আন্তঃজেলা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্জয় কুমার মহন্ত গত ১৩ ই ফেব্রুয়ারি সোমবার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ী গ্রামের বাঙালি নদীতে অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকে দুইটি স্ক্যাবিটার জব্দ করে । পরবর্তীতে ১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার নিমগাছি ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বেড়েরবাড়ী গ্রামের মৃত দিরাজতুল্লাহর ছেলে নিমগাছি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম(৫৫), আবুল কালামের ছেলে মোঃ রানা(৩০), মৃত আবুল প্রাং য়ের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩০) মৃত আকবর প্রাং য়ের ছেলে আবূ সাঈদ (৩৫), মৃত জালাল প্রাং য়ের ছেলে মোঃ আমিনুর রহমান (৪০) ও আশরাফুল ইসলাম (৩২), মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মোঃ ফুল বাবু(৪০), মৃত আঃ হাই য়ের ছেলে মোঃ মোস্তফা (৩৫), মোঃ আঃ খালেকের ছেলে মোঃ পারভেজ(৩০) গনের নামে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০; ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠের ক্ষতি করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় জামিনে বের হয়ে তাহারা পুনরায় ১০ চাকার ট্রাক যোগে রাতভর বালু উত্তোলন ও পরিবহন অব্যাহত রেখেছেন। এ বিষয়ে ইউ এন ও সন্জয় কুমার মহন্ত জানান, নদীর চর কেটে বালু বিক্রির লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে এবং দুইটি স্ক্যাবিটার জব্দ করা হয়েছে, পুনরায় সেখানে বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমার জানা নেই তবে তথ্য পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বেড়েরবাড়ী গ্রামের নবাব আলী খান জানান, প্রভাবশালী মহলের সমর্থনে এলাকার একটি কুচক্রী মহল এই বালুমহাল চালু রাখার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এদের দৌরাত্ম বন্ধ না করতে পারলে চলাচলের রাস্তা নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ পাল্টে এলাকার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করবে। নিমগাছী ইউনিয়নের হেউটনগর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মোঃ মোখলেছুর রহমান, হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ময়না খাতুন, মৃত ফজলার রহমানের ছেলে মোঃ শহিদুল ইসলাম, মৃত আজিজার রহমানের ছেলে শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আমাদের রেকর্ডভুক্ত জমির ভেঙে নদী হয়েছে যে সব চর থেকে বালু কেটে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আমাদের রেকর্ডভুক্ত সম্পত্তি। জোরপূর্বক বালু কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাধা দিতে গেলে প্রাননাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়, সেইসাথে বলে এই বালুমহাল সেনাবাহিনী কর্তৃক ইজারা দিয়েছে, অথচ কোনদিন এখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখেনি কেউ ।