পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বিকাশের সঙ্গে মনের পুষ্টি যোগাতে পারে শিল্প-সাহিত্য। আর দেহের পুষ্টি, দেহের গঠন ও শক্তি যোগায় ক্রীড়া। খেলাধুলা যেমন আনন্দ দেয় তেমনি ঐক্যের বার্তাও দেয়। তাই শিক্ষার্থীদের মানবিক বিকাশে এর কোনো বিকল্প নেই। ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। কাঞ্চন একাডেমীর খেলার মাঠে বুধবার সকালে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সমাজ সেবামূলক সংস্থা ‘কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ‘ঢাকা টাইমস’ ও সাপ্তাহিক ‘এই সময় সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান দোলন। প্রধান বক্তা ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুদরত-ই-হুদা, আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহম্মদ আবু তাহের, শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. আশরাফুল আলম খান। সভাপতির বক্তব্যে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আমি স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার জন্ম না হলে এরকম একটি আলোকিত অঞ্চল আমরা পেতাম না। সেইসঙ্গে স্মরণ করব কাঞ্চন মুন্সীকে, যার জন্ম না হলে এই প্রতিষ্ঠানেরও সৃষ্টি হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন গ্রাম হবে শহর। এই অঞ্চল তো শহর হয়েই গেছে। আমি মনে করি, এটি কাঞ্চন মুন্সীর অবদান।’ তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনটি কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর শিক্ষার্থীদের। খেলাধুলা যেমন আমাদেরকে আনন্দ দেয়। একই ভাবে সবার মধ্যে ঐক্যের বার্তাও দেয়। হিংসা বিদ্বেষ দূর করতে সহায়তা করে।’