দেশে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সরকারী নীতিমালার প্রেক্ষিতে পাবনা জেলায়তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলাতে তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। পাবনা কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলার নয়টি উপজেলাতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলায় গত মৌসুমে সরিষার আবাদ করা হয়েছিল ৩১ হাজার ৩৩০ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছিল ৪২ হাজার ৩০৮ টন সরিষা। চলতি মৌসুমে সেটা বাড়িয়ে ৩৫ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এর ফলে চলতি মৌসুমে উৎপাদন বেড়ে ৪৭ হাজার ৯৭৯ মেট্রিক টনে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে দফতরটি। পাবনা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহানা পারভীন লাবনী জানান, চলতি রবি মৌসুমে পাবনা জেলার সদদর উপজেলাতে সরিষার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ১৮০ হেক্টর। আটঘড়িয়া উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর, ঈশ্বরদী উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ১৮৫ হেক্টর, আবাদ হয়েছে এক হাজার ১৯০ হেক্টর, চাটমোহর উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭৪০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৭৫০ হেক্টর, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৫০৫ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫৩০ হেক্টর, ফরিদপুর উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৫৭৫ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৬২০ হেক্টর, বেড়া উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৪৮০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৫৮০ হেক্টর, সাথিয়া উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ২১০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে ২ হাজার ১১০ হেক্টর এবং সুজানগর উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ১৪০ হেক্টর, আবাদ হয়েছে এক হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে। এ আবাদ থেকে উৎপাদন আশা করা হয়েছে ৪৭ হাজার ৯৭৯ মে:টন সরিষা। পাবনা কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. সাইফুল আলম বলেন, দেশে তেলের ঘাটতি পুরন ও ভোজ্য তেলের আমদানী কমিয়ে আনতে তেল ফসলের আবাদ বদ্ধি করার জন্য সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। ফলে জেলাতে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর সরিষার আবাদ বদ্ধি করা হয়ে। চলতি রবি মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ করে থাকে কৃষকেরা। সরিষা ঘরে তোলার পরে বোরো আবাদের সঠিক সময় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে ধান চাষীদের। সরিষার আবাদ বৃদ্ধির ফলে ধানের আবাদে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে কিনা জানতে চাওয়া হলে ড. সাইফুল বলেন, স্বল্প জীবন কালের সরিষা আবাদের জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছিলাম এবং স্বল্প জীবনকালের ধান আবাদের জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছে। ফলে সরিষার আবাদ বৃদ্ধির ফলে ধান আবাদেদর উপর কোন প্রভাব পড়বে না।