বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে হলে নতুন করে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া যদি বলেন, আপনারা আমাকে যে যে শর্তযুক্ত (শর্তে) ছেড়ে দিয়েছেন, এটা আমি মানি না, আমাকে জেলে নিয়ে যান, আমি আবার দরখাস্ত করবো। তখন তিনি আবার দরখাস্ত করতে পারেন।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় ফৌজদারি কার্যবিধিতে কোথাও নেই যে তাকে আমরা আগের দরখাস্তের বিবেচনায় বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় কাউকে বিদেশ যেতে দেওয়া যাবে না, এটা আমি কখনো বলিনি। একবার নিষ্পত্তিকৃত কোনো দরখাস্ত আবার পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় নেই।
আরো পড়ুন- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী জানান, এভারকেয়ার হাসপাতাল তার (খালেদা) জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তিতে চিকিৎসা করছে। আমি যতটুকু খবর পেয়েছি, কিছুটা তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখানে তিনি (খালেদা জিয়া) যতটুকু সম্ভব সুচিকিৎসা পাচ্ছেন। এইটুকু আমি আপনাদের বলতে পারি। সেখানে সরকারের কোনো হাত নেই। তাদের ইচ্ছেমতো তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং পাচ্ছেন।
আরো পড়ুন- ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতিকে ৬ প্রস্তাব দিলো ওয়ার্কার্স পার্টি
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের অবস্থান কিন্তু ঘোলাটে না। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। আইন করার কথা বলা আছে। রাষ্ট্রপতি গত দুবার সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে এসেছিলেন। সিদ্ধান্তটা হচ্ছে, একটা সার্চ কমিটি গঠন হবে। সেই কমিটিতে নাম দেওয়া যাবে। নামগুলোর মধ্যে ১০টি নাম সুপারিশ করে কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। রাষ্ট্রপতি পাঁচজনকে নির্বাচিত করবেন, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বাকি চারজন নির্বাচন কমিশনার। এটা করার পর একটি গেজেট হয়েছে। এরপরে দুটি নির্বাচন হয়েছে। যদিও এটা আইন না, তবু এটার ‘ফোর্স অব ল’ আছে।