গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ভুঙ্গাবাড়ী এলাকায় শনিবার ভোরে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে অজ্ঞাত পরিচিত এক নারীসহ ২জন নিহত ও ৩ জন মারাত্নক আহত হয়েছে।আহতদের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।নিহত মাসুদ নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানা সদরের মো: শামছুল ইসলামের পুত্র । এরিপোর্ট লেখা পরযন্ত নিহত নারীর কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি।পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, চিলহাটি থেকে ছেড়ে আসা নীলসাগর এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন শনিবার ভোরে কালিয়াকৈর উপজেলার সোনাখালি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছে। এসময় দ্রুতগামী একটি বাস রেল ক্রসিং পাড় হওয়ার সময় ট্রেনের সাথে সংঘর্ষ হয় । দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বাসটিসহ চলন্ত ট্রেনটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে উপজেলার ভুঙ্গাবাড়ী এলাকায় ঘাটাখালি ব্রীজের কাছে গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে অজ্ঞাত পরিচিত (বাসের যাত্রী)এক নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং মাসুদ রানা নামে আরো এক বাস যাত্রী কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যায়। সংঘর্ষে হারুন অর রশীদ (৪০),কামরুল ইসলাম(৫২) ও মানিক মিয়া (৩০) নামে তিন জন ট্রেনযা্ত্রী মারাত্নক আহত হয়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনার পর সোনাখালী রেলক্রসিংয়ে ডিওটিরত লাইন মাইন মো: রিপন মিয়াকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। লাইনম্যানের কর্তব্যে অবহেলার কারণে এসংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। কালিয়াকৈর থানার এসআই মোরশেদ আলী মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষে অজ্ঞাত পরিচিত এক নারীসহ ২জন নিহত ও ৩জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের পর সোনাখালী রেলক্রসিংয়ে ডিওটিরত কোন লাইনম্যানকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।লাইনম্যানের কর্তব্যে অবহেলার কারণে এঘর্ষের ঘটনা ঘটছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নীলসাগর ট্রেনের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাত চারটার দিকে সোনাখালীর রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে বাসের ধাক্কা লেগে ভুঙ্গাবাড়ী এলাকায় যেয়ে ট্রেনটি বন্ধ হয়ে যায়। এঘটনার পর ভোর ৪টা ১০ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ২৩মিনিট পরযন্ত ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের রেল চলাচল বন্ধ ছিল।