![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
রংপুরে পদাগঞ্জ কে বলা হয় হাড়ি ভাঙ্গা আমের রাজধানী। সেই রাজধানীতেই এবার আমের আকাল। গতবারের তুলনায় ফলন খুবই কম। তাই এখানের বাজারে এখন দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে আম। আরও দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। রংপুরের বাজারগুলোয় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বিভিন্ন ধরনের গুটি, খিরশাপাত, ল্যাংড়া, গোপালভোগ ও লক্ষণভোগ আম আসতে শুরু করে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে গত বারের তুলনায় এসব আমের দাম অনেক বেশি। রংপুর নগরীর টার্মিনাল,লালবাগ ও সিটি কাঁচা বাজারে গুটি জাতের আম ৩০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা, খিরশাপাত ৩৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা, গোপালভোগ ৩৫০০-৪০০০ টাকা, লক্ষণভোগ ১২০০-১৬০০ টাকা, ল্যাংড়া ৩৩০০-৪০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আম চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবার আমের ফলন অর্ধেকেরও কম। যার কারণে আমের বাজার খুবই চড়া। বেশি দাম হওয়ার কারণে মানুষ আশানুরুপ এই ফল কিনছেন না। কাঁচা পণ্য হওয়ায় পচে যাওয়ার আশঙ্কায় আশানুরুপ দাম না পাওয়া গেলেও বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। পদাগঞ্জ বাজারের আম বিক্রি করতে এসেছেন আলী। এই আম বিক্রেতা বলেন, প্রায় ১০ মণ আম এনেছি বাজারে। দাম বেশি হওয়ায় আম কিনতে গড়িমসি করছেন ক্রেতারা। তাও বাজারে মোটামুটি আম বিক্রি হচ্ছে। আরেক বিক্রেতা জানান, গতবারের তুলনায় এবার আম খুবই কম। যার কারণে আমের দাম অনেক বেশি। বাজারে এখন হাড়িভাঙ্গাসহ কয়েক রকমের আম নেমেছে। আগামিতে আমের দাম আরও বাড়তে পারে। রংপুরের পদাগঞ্জে এবার ফলন কম হওয়ার অজুহাতে একটি সিন্ডিকেট আমের দাম বাড়াচ্ছে, অভিযোগ খুচরা ক্রেতাদের। সিন্ডিকেট সদস্যরা নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম ধার্য্য করছেন বলে জানান তারা। গতবছর মৌসুমের শুরুতে হাড়ি ভাঙ্গা আমের মণ ১২শ থেকে ১৩শ টাকা দরে বেচাকেনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার আম বিক্রি শুরু হয়েছে ২৪০০ টাকারও বেশি দরে। বাকি সব আমের দামও চড়া। রংপুর জেলার মিঠাপুকুরের পদাগঞ্জ বদরগঞ্জ ছাড়াও রংপুর নগরীর বাজারে হাড়িভাঙ্গা আম বেশি বেচাকেনা হয়। এসব বাজারের আড়তগুলোয় অন্য জেলার ব্যাপারিরা আসেন ও আম কিনেন। কিন্তু এইসব বাজারে আমের ওজনে চলে ব্যাপক অনিয়ম।আম চাষিদের জিম্মি করে অনেক কম দামে আম কেনেন আড়তদারেরা। জানা গেছে, একমণ সমান ৪০ কেজি। কিন্তু মণের হিসেবে চাষিদের কাছ থেকে জিম্মি করে ওজনে বেশি নেওয়া। প্রতিবাদ করে কোন লাভ না হওয়ায় একপর্যায়ে আম বিক্রি করতে বাধ্য হন চাষিরা।