তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২৯ মে। আর সেই নির্বাচনে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪ প্রার্থী হারিয়েছে জামানত গত ২৯ মে সারাদেশের ন্যায় এ উপজেলায় ৫৭টি ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলে। এদিন ৫২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনে দেওয়া মোট ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীকে পেতে হবে, তা না হলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত বলে গণ্য হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১জন প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশেরও কম ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ১৫ শতাংশের কম ভোট পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন। এ পদে ভোটারদের দেওয়া মোট ৭৮ হাজার ৯৬টি ভোটের মধ্যে ১৫ শতাংশ হারে এই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ১১ হাজার ৭১৫টি ভোট পেতে হতো। কিন্তু তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৩টি ভোট। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এ পদে ৭৮ হাজার ৯৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৭৬ হাজার ১০টি এবং বাতিলকৃত ভোট ২ হাজার ৮৬টি ভোট। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রেজাউল করিম ও যুবনেতা হাজ্জাজ আল হাদী জামানত হারিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের প্রদত্ত মোট ৭৮ হাজার ৯৬টি ভোটের মধ্যে ১৫ শতাংশ হারে এই ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ১১ হাজার ৭১৫টি ভোট পেতে হতো। কিন্তু সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল করিম টিয়া পাখি প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৩২০টি ভোট, এবং যুবনেতা হাজ্জাজ আল হাদী বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৯টি ভোট। উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এ পদে ৭৮ হাজার ৯৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৭৪ হাজার ৯৭৭টি এবং বাতিলকৃত ভোট ৩ হাজার ১১৯টি ভোট। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ ছাড়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছা. সারমিন রহমান (চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ) জামানত হারিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের প্রদত্ত মোট ৭৮ হাজার ৯৭টি ভোটের মধ্যে ১৫ শতাংশ হারে এই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ১১ হাজার ৭১৫টি ভোট পেতে হতো। কিন্তু তিনি প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩০৩টি ভোট। উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এ পদে ৭৮ হাজার ৯৭ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৭৫ হাজার ৪২২ টি এবং বাতিলকৃত ভোট ২ হাজার ৬৭৫টি ভোট। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫২ দশমিক ৯৪। এ বিষয়ে উপজেলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রোস্তম আলী বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে প্রদত্ত মোট ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীকে পেতে হবে। তবে ১৫ শতাংশের কম ভোট পাওয়া প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত বলে গণ্য হবে।