১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসায়, এবার নৌকার নির্বাচনী প্রচারণায় জনগণ আওয়ামী লীগের গালে জুতা মারা শুরু করেছে। মনে হচ্ছে আগামী ৭ তারিখের পর জনগণই তাদেরকে ঝাঁড়ু ও জুতার মালা পরিয়ে দেশ ছাড়া করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার(২৮ ডিসেম্বর -২৩) দুপুরে পেট্রো বাংলা, কারওয়ান বাজার এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে অসহযোগ আনদোলন সফল করার লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ডামি নির্বাচনে কারা কারা এমপি হবে সেই তালিকা সরকার পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। শুধু ৭ তারিখ সন্ধ্যায় এমপিদের নাম ঘোষণা করার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই নির্বাচনী আয়োজন করা হয়েছে। তবে দেশের জনগণ ইতিমধ্যে সরকারের ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েই জুতা, ঝাঁড়ু নিয়ে রাস্তায় নামতে শুরু করেছে। তবে শেখ হাসিনার বিদায় খুবই নিকটে। ইনশাআল্লাহ জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত। জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। জনগণ চারদিকে ভোট চোর বলে শেখ হাসিনাকে প্রত্যাখান করেছে। যে কোন সময় আওয়ামী লীগের ভয়াবহ পতন ও রাজনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের অর্থনীতির দুর্যোগ চলছে। চারদিকে সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক ও যুবকদের জীবনে চরম হাহাকার নেমে এসেছে। তাই আগামী ৭ তারিখ সর্বস্তরের জনগণ ভোট বর্জন করেছে। ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ একটি নির্লজ্জ ও বেহাঈয়া রাজনৈতিক দল। তাদের রাজনৈতিক কোন চরিত্র নাই। ভোটের আগে আওয়ামী লীগের নেত্রী নাকি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে, আবার ভোটের পরে মাথায় তীলক লাগায়। এরা ভোটের আগে জনগণের পায়ে ধরে, আর ভোটের পরে বুকে গুলি করে। আওয়ামী জালীম সরকার ভোটের আগে আলেমদের সালাম দেয় এবং ভোটের পরে কারাগারে পাঠায়। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির( কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।