ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর কানাইপুরের দিকনগরে পিকআপের সাথে ইউনিক পরিবহনে একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন নিহতের ঘটনার সেই বাস চালককে আটক করেছে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা। সোমবার সকালে ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার লে: কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার। আটক চালকের নাম খোকন মিয়া, সে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানার বাজে বামুনদাহ গ্রামের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের পুত্র। পাশাপাশি এ ঘটনায় চারটি কারণের কথা উল্লেখ করে গত রোববার রাতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কমিটি। দুর্ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সিদ্দিকীকে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির প্রতিবেদনে যে চারটি কারন উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে রয়েছে- ঈদের পরে বাস চালকের দীর্ঘ সময় গাড়ি পরিচালনায় ক্লান্তি আর চোখে ঘুম, দুটি যানের অধিক গতি, মহাসড়কে নিজস্ব লেনে ব্রেক করা ও মহাসড়কে অটোরিকশার-ভ্যান উপস্থিতি। এদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে লে: কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার জানান, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোববার দুপুরে তাকে আটক করেন সদস্যরা। তিনি জানান, দুর্ঘটনার আগের রাতে ওই চালক রাত নয় টা থেকে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার দিনে ঘুম চোখে নিয়ে গাড়ি চালানো এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া গাড়িটি দ্রুত গতিতে ছিল বলেও উল্লেখ করে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির থাকায় দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায় বলেও দাবি করেন তিনি। এবিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান জানান, গত ১৬ এপ্রিল কানাইপুরের দিকনগর এলাকায় ঢাকা থেকে খুলনাগামী উত্তরা ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই পিকআপে থাকা নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১১ জন মারা যান। আহত হন ৭ জন। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও ৪ জন।