ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলায় মাদকদ্রব্য ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ২ ধাপে ৩ ব্যক্তির আটক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৮ মে সোমবার ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, গত ৬ মে শনিবার ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুয়ারী (জিয়াবাড়ী) এলাকায় মো: সবুর হাসান ওরফে জুলুন (২৬) কে ১৩০ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করা হয়। পরদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা গোয়েন্দা শাখার এস ,আই (নিরস্ত্র) জহরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঐ দিনই বালিয়াডাঙ্গী থানায় ৭ নং -মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে ঠাকুরগাঁও জেলা গোয়েন্দা শাখার এস,আই (নিরস্ত্র) মো: নবিউল ইসলামকে নিযুক্ত করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত ও আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে মর্মে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার রতনদিঘী গ্রামের ইসরাইল ওরফে পানিপথের ছেলে লতিফ ওরফে ফুচকুন (২৬) কে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার চাচাতো ভাই মো: রানা মিষ্টারের বাড়ির তোশকের নিচ হতে চটের ব্যাগের ভিতরে রক্ষিত শপিং ব্যাগ দ্বারা পেচানো ট্রিগার, ফায়ারিং পিন ও ব্যারেল সংযুক্ত একটি সচল অগ্নেয়াস্ত্র ওয়ান শুটার গান এবং একটি তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই নবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৮ মে সোমবার বালিয়াডাঙ্গী থানায় অস্ত্র আইনে ১০ নং- মামলা দায়ের করেন। ৮ মে সোমবার আটককৃত ২ জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিবির অফিসার ইনচার্জ মো: আনোয়ারুল ইসলাম, গোয়েন্দা শাখার এস,আই মো: নবিউল ইসলাম সহ ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।