চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শিব চতুর্দশী মেলা। উপমহাদেশে হিন্দু ধর্মের অন্যতম তীর্থস্থান সীতাকু- চন্দ্রনাথ ধামে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এই মেলা চলেছে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এ মেলায় লাখো লাখো পুণ্যার্থীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সীতাকুণ্ডের এই শিব চতুর্দশী মেলা।
কথিত রয়েছে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ পৃথিবীর সব তীর্থস্থান দর্শন করলেও অন্তত একবার যদি সীতাকু- তীর্থভূমি দর্শন না করে তাহলে তার তীর্থ দর্শন সম্পূর্ণ হয় না।
প্রতিবছর শিব চতুর্দশী তিথিতে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। শিবরাত্রি ব্রতসহ শিব লিঙ্গে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করতে দেশ-বিদেশের লাখো হিন্দু সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থী জড়ো হন এ মেলায়।
চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সীতাকুণ্ড উপজেলা সদরে এই মেলার অবস্থান। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে এটি অবস্থিত।সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সর্পিল আঁকা-বাঁকা একটি সড়ক চলে গেছে চন্দ্রনাথ সোজা পাহাড়ের দিকে। এর সর্বোচ্চ চূড়াটির উচ্চতা প্রায় ৩৬৫ মিটার বা ১২০০ ফুট প্রায়। চূড়ায় ওঠার পথটি বেশ দুর্গম। এ পথে রয়েছে শংকর মঠ, শ্মশান, গিরিশ ধর্মশালা, ননী গোপাল তীর্থ মন্দির, ভৈরব ধর্মশালাসহ আরো অনেক দেবালয়।
আরো কিছুটা পথ ওঠার পর দেখা যাবে ভবানী মন্দির। ভবানী মন্দির ছেড়ে আরেকটু পথ এগুলেই শম্ভুনাথ মন্দির, ছোট্ট একটি পাহাড়ি ঝরনা। আর এখান থেকেই চন্দ্রনাথ মন্দিরের দিকে উঠতে হয়।
পুণ্যার্থীদের পাহাড়ে ওঠার জন্য এখান থেকে শান বাঁধানো সিঁড়ি তৈরি করা আছে। বিভিন্ন মন্দিরে পূজা-অর্চনা করলেও ভক্তদের সবার কাছেই মূল আকর্ষণ থাকে পাহাড়ের চূড়ার চন্দ্রনাথ মন্দির।শিব চতুর্দশী পূজা উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে মেলায় আসা পুর্ণ্যার্থীরা পাহাড় বেয়ে চন্দ্রনাথ মন্দিরে ওঠার দৃশ্য দূর থেকে অনেকটা চলমান পিঁপড়ার সারির মতো মনে হয়।