ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শনিবার লিফলেট বিতরণ করার সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ৬ পুলিশ আহত হয়। পুলিশ গুলিবর্ষণ করলে নয়নসহ ৭ জন বিএনপি কর্মী আহত হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে ১৭ বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারভুক্ত মো. রফিক মিয়া (৪২) ও সাইদুর রহমান (৪৫) কে গ্রেফতার করে আজ রোববার (২০ নভেম্বর) জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া উপজেলা সোনারামপুর ইউনিয়নের ছাত্রদলের সহ সভাপতি ছিলেন। আগামী ২৬ তারিখ কুমিল্লা গণসমাবেশের লিফলেট প্রচার করার সময় বিএনপি নেতা সাইদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করেন। এ সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে মিছিলকারী পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। পুলিশের গুলি নয়নের পেটে লাগলে লোকজন তাকে বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কেেমপ্লক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক নয়নকে মৃত ঘোষণা করেন। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মো. নূরে আলম জানান মিছিলকারীরা থানার দিকে আসতে দেখে পুলিশ বাধা দিলে বিএনপি কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এতে আমিসহ ৬ পুলিশ আহত হয়। কনস্টেবল বিশ্বজিৎকে বাঞ্ছারামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। ছাত্রদল নেতা নিহত নয়নের দুই ভাই ও এক প্রতিবন্ধী বোন রয়েছে। ৫ বছর আগে সে সানজিদা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। তার ২ বছরের একটি ছেলে আছে। নয়নকে দেখার জন্য এলাকার শতশত মানুষ বাড়িতে ভিড় করছে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ঢাকা থেকে নয়নকে বাড়িতে আনা হয়নি। পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে জানাজা শেষে বাড়িতে আনা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ নির্মমভাবে তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছে তার পরিবার।