ভোজেশ্বর ফাউন্ডেশনের প্রথম কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার ২৯শে আক্টবর ২০২২ইং তারিখে ভোজেশ্বর ইউনিয়নের অডিটরিয়ামে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ভোজেশ্বর ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা জনাব শহিদুল ইসলাম শিকদার ,ভোজেশ্বর ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা বৃন্দ ও সদস্য বৃন্দ। কাউন্সিলে আগামী এক বছরের জন্য ভোজেশ্বর ফাউন্ডেশন এর কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
ভোজেশর ফাউন্ডেশন একটি সর্ম্পূন অরাজনৈতিক, সেচ্ছাসেবী, সামাজিক এবং জনকল্যানমুখী সংগঠন।
যার মূলমন্ত্রে রয়েছে জনসেবা। ভোজেশরের মাটি ও মানুষের, বিশেষ করে যুব সমাজের আত্ব-সামাজিক,
সাংস্কৃতিক ও নৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন র্কমসূচি বাস্তবায়ন করবে ভোজেশর ফাউন্ডেশন। ইনশাআল্লাহ্
কর্মসূচিঃ
• বিভিন্ন সমাজসেবামূলক র্কমকান্ডে অংশগ্রহন করা এবং যুবকদের উৎসাহিত করা।
• মুমূর্ষ ব্যাক্তির জন্য রক্তের ব্যাবস্থা করে দেয়া।
• সামাজিক বিপন্ন লোকদের কল্যান সাধন করা।
• প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় দূর্গতদের সহযোগীতা করা।
• বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
• বিভিন্ন জায়গায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান বাস্তবায়ন করা।
• শিক্ষামূলক কর্মসুচি গ্রহন করা।
• বিনোদনমূলক কর্মমূচি গ্রহন করা।
• যুবকদের নৈতিক অবক্ষয় রোধে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করা।
• যুবকদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করার জন্য টূর্ণামেন্ট সহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া।
• সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন করা।
• অন্যান্য সামাজিক সংগঠনের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা।
• আমাদের সদস্যদের মধ্যে সমবায়মূলক র্কমকান্ড গড়ে তোলা।
নীতিমালা
• যারা ভোজেশর অঞ্চল এর মাটি, মানুষ ও মানবতার জন্য কাজ করতে প্রস্তুত তারা জাতী, ধর্ম বর্ণ, উঁচু-নিঁচু নির্বিশেষে ‘ভোজেশর ফাউন্ডেশন’ এর সদস্য হতে পারবেন।
• কোন সামাজিক অপকর্মে লিপ্ত ব্যাক্তি ‘ভোজেশর ফাউন্ডেশন’ এর সদস্য হতে পারবেন না। যেমনঃ মাদক সেবনকারী, কিশোর গ্যাং এ জড়িত, ইভটিজার ইত্যাদি। তবে সংশোধনের লক্ষ্যে তাদের মনিটরিং লিষ্টে সদস্য হিসেবে রাখা যেতে পারে। কার্যনির্বাহী লিষ্টে নয়।
• সদস্য হিসেবে ৩ টি জিনিস অত্র সংগঠনে দেয়া বাধ্যতামূলক। যথাঃ সময়, শ্রম এবং মূলধন।
• সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ প্রগ্রামগুলোতে এবং মাসিক মিটিং এ অবশ্যয়ই উপস্থিত থাকতে হবে। একাধারে তিন মাস অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ বাতিল বলে গন্য হবে।
• নিয়মিত মাসিক চাঁদা (কমপক্ষে ৩০ টাকা) দেয়া বাধ্যতামূলক। একাধারে ৩ মাস চাঁদা না দিলে তার সদস্যপদ বাতিল বলে গন্য হবে। এ ক্ষেত্রে অর্থ সম্পাদকের মন্তব্য যথাযথ মূল্যায়িত হবে।
• সদস্য হওয়া মাত্রই কাউকে দায়িত্ব অর্পন করা হবে না। যোগ্যতা এবং তিনটি ইভেন্টের কার্যক্রম দেখে দায়িত্ব অর্পন করা হবে।
• রাজনৈতিক দর্শন যার যার ব্যাক্তিগত। এর সাথে সংগঠনের কোন প্রকার প্রভাব বা সম্পৃক্ততা থাকবে না।
• মুর্মূষ ব্যাক্তিকে রক্ত দান করার জন্য ‘ভোজেশর ফাউন্ডেশন’ এর একটি সহযোগী সংগঠন হিসেবে থাকবে ‘কীর্তিনাশা ব্লাড ব্যাংক’।
• ‘বইপোকা’ নামে ভোজেশর ফাউন্ডেশন এর একটি উন্মুক্ত গ্রন্থাগার থাকবে। এই পাঠাগারই হবে ‘ভোজেশর ফাউন্ডেশন’ এর প্রধান কার্যালয়।
• ভোজেশর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সবসময় ‘ভোজেশর ফাউন্ডেশন’ এর প্রধান উপদেষ্টা থাকবেন।
• শুধুমাত্র ছাত্ররাই ভোজেশর ফাউন্ডেশন এর কার্যনির্বাহী কমিটিতে থাকবেন। এর উপরে বাকি সবাই ফাউন্ডেশনের শুভাকাঙ্খী এবং উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন।
• মেয়েরাও শালীনতা বজায় রেখে ‘ভোজেশর ফাউন্ডেশন’ এর সদস্য হতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে তাদের যথাযথ নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা হবে।
• ‘একতা’ – ‘মানবতা’ – ‘নৈতিকতা’ – ‘দেশপ্রেম’ এই চারটি মূলনীতির উপর ভিত্তি করেই ভোজেশর ফাউন্ডেশন পরিচালিত হবে। ইনশাআল্লাহ্ ॥