বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীনতা পেত না উল্লেখ করে জাতীয় সংসদর হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এ দেশকে পাকিস্তানের হাত থেকে রক্ষা করতে ঝাপিয়ে পড়েছিল বীরমুক্তিযোদ্ধারা। জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের আত্মত্যাগের কারণে আজ আমরা স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। বীরমুক্তিযোদ্ধাদের যোগ্য সম্মানের জায়গায় আসীন করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। মুক্তিযোদ্ধা-ভাতা, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। মত্যুর পরও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেয়া হচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে। বিএনপি জামায়াতের আমলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভয় পেত নিজেদের পরিচয় দিতে। সম্মান তো দুরের কথা কোন সুযোগ সুবিধাই ছিল না। চিকিৎসার অভাবে মুক্তিযোদ্ধারা অনেকেই মৃত্যুবরন করেছেন। আজ তা হয় না। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বুক উচিয়ে নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন। ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের বুকে চিরকাল বেচেঁ থাকবেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করা হবে এই ডিজিটাল স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে। ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তন সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সদর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় সংসদর হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতখার আহমেদ পিপিএম-সেবা, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.ইমদাদ সরকার, সদর উপজলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ, দিনাজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার লোকমান হাকিম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম শামীম আলম সরকার বাবু প্রমুখ।এর আগে সকালে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয় দিনাজপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি।
নবচেতনা/আতিক