তারেক রহমানকে কখনো দেখিনি, দেখার ইচ্ছাও নেই।’গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার আমাকে জনস্বার্থে অবসরে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে অন্য কোনো কারণ আছে বলে আমার জানা নেই। সরকার আমাকে অবসরে পাঠানোয় অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে থাকলে যেসব সুযোগ সুবিধা পেতাম, সেগুলো হয়তো পাব না। তবে অবসরের সব সুযোগ সুবিধা পাব।’
বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়েছে- ‘বিরোধীদলের সঙ্গে আপনার সখ্যতা আছে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনই পত্র-পত্রিকায় দেখলাম। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না সাংবাদিক হিসেবে আপনারা বিষয়টি অনুসন্ধান করতে পারেন। যদি থেকে থাকে সেটি আপনারা প্রচারও করতে পারেন। আমার পক্ষ থেকে কোনো অসুবিধা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তারেক রহমানকে কোনোদিন দেখেছি বলে মনে পড়ে না। তাকে দেখার ইচ্ছাও আমার নেই। তিনি তো মন্ত্রীও ছিলেন না, এমপিও ছিলেন না। টেলিভিশনে তাকে দেখেছি, সেটা তো স্বাভাবিক।’
গত রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেনকে অবসরে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজমের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মো. মকবুল হোসেনকে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে অবসর প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’
কোনো সরকারি কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর যেকোনো সময় সরকার, জনস্বার্থে, প্রয়োজনীয় মনে করলে কোনোরূপ কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করতে পারবে।
নবচেতনা /আতিক