বেসরকারিভাবে হজে গিয়ে সৌদি আরবে ভিক্ষা করা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সিন্দুরকোটা গ্রামের সেই মতিয়ার রহমান মন্টুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) হজ শেষে দেশে ফেরার সময় হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মহিতয়ার রহমান মন্টু মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সিন্দুরকোটা গ্রামের মৃত হারুন-আর-রশিদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ জাফর হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত ৩০ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে করা জিডি অনুযায়ী ৫৪ ধারায় মন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার আচরণে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।’
৫৪ ধারার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মন্টু গত ১৮ জুন ধানসিঁড়ি ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজ করতে সৌদি আরব যান। এরপরে হজ না করে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। ভিক্ষাবৃত্তির খবর পেয়ে সৌদি পুলিশ তাকে আটক করে। এরপর এজেন্সির মাধ্যমে তিনি জামিনে মুক্তি পান। বিষয়টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এতে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়।
মন্টুকে শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ মামলায় ওই দিন জামিনের আবেদন করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।
আবুল কালাম আজাদের অ্যাসোসিয়েটের সদস্য কামরুজ্জামান সুমন বলেন, আসামির দুই হাত নেই। তবে, তার বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। আসামির আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে এসব জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরবে যান মতিয়ার রহমান মন্টু। গত ২২ জুন হজ পালনের সময় মদিনায় ভিক্ষাবৃত্তি করার সময় সৌদি পুলিশের হাতে আটক হন তিনি।