বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে বাংলাদেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে ৫ হাজার ৭৭৬ জন মানুষ মারা যায়। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস আজ ।
এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘টেকসই উন্নয়ন – সমৃদ্ধ দেশ: নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ।’ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) কার্যক্রম সর্বসাধারণকে অবহিতকরণ এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বাড়ানোই এ দিবসের প্রধান লক্ষ্য।
ডব্লিউএইচও’র তথ্যমতে ট্রান্সফ্যাটঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
করোনার কারণে সীমিত আকারে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে দিবসটি পালিত হতে যাচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কর্মক্ষম একটি জাতি গঠনে সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করাই হোক জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসে আমাদের সকলের অঙ্গীকার।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের কোনো বিকল্প নেই। অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ক্যান্সার, কিডনিরোগ, বিকলাঙ্গতাসহ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সমন্বয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে জণসচেতনতামূলক কার্যক্রম আরো বেগবান করা অত্যন্ত জরুরি।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের সকল মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি নিরপাদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন হতে ভোগ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে নিরাপদ খাদ্য ও তার পুষ্টিমান বজায় রাখতে হবে। দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্যের নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই এক্ষেত্রে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করতে হবে।’