লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত রামগঞ্জ পৌর শহরের শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য নির্মিত একমাত্র শিশুপার্কটির গেটে প্রায় দুই বছর ধরে তালা ঝুলছে। পার্কের ভেতরে চিত্তবিনোদনের অবকাঠামো বলতে কিছুই নেই শূন্য মাঠ খাঁ খাঁ করছে। দুই বছর আগে শিশুপার্কটি দখলমুক্ত করে লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ। পরে পার্কের প্রধান গেট সংস্কার করে ভেতরে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে রাখে। এর আগে পার্কটি নির্মাণসামগ্রীর কারখানা ও গরু ছাগলের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছিল। সে সময় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে একাধিকবার খবর প্রকাশিত হলে জেলা পরিষদের টনক নড়ে। পরে শিশুপার্ক দখলমুক্ত করে নতুন করে অবকাঠামো তৈরি না করে গেট সংস্কার করে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়া হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটোয়ারী নতুন গেট নির্মাণের সময় জানান, শিশুপার্কটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত ছিল। এ ব্যাপারে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সে সময় তিনি বলেন, অচিরেই শিশুপার্কটি শিশুদের বিনোদনের জন্য দৃষ্টিনন্দন করে জেলার মডেল শিশুপার্কে পরিণত করা হবে। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর পেরিয়ে গেলেও পার্কের ভেতরে শিশুদের বিনোদনের কোনো অবকাঠামো তৈরি না করে গেট সংস্কার করে তালা দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ২০০৫ সালে রামগঞ্জ শিশুপার্কটি উদ্বোধন করা হয়। সে সময় পার্কের চারদিকে প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। পার্কের ভেতরে অনেক পাকা বেঞ্চ, শিশুদের খেলার জন্য সামগ্রী তৈরি করা হয়। বিভিন্ন জাতের ফুল,ফল ও কাঠগাছ লাগানো হয়। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনকালে পার্কটি যথাযথভাবে চালু করার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। দীর্ঘদিন সংস্কার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পার্কের দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকের গেট কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। শিশুদের বসার পাকা বেঞ্চ, দোলনা ও খেলার সামগ্রী ভেঙে ফেলা হয়েছে। পার্কে লাগানো কোনো গাছেরই অস্তিত্ব নেই। স্থানীয় প্রভাবশালী মহল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। বৈশাখী মেলা ও বাণিজ্যমেলা বসিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। পার্কটিতে শিশুদের চিত্তবিনোদনের কোনো সুযোগ নেই। গড়ে তোলা হয়নি কোনো অবকাঠামো। সুশীল সমাজের অনেকে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের উদ্যোগের অভাবে শিশুপার্কটি দীর্ঘদিন ধরে চরম অবহেলায় বন্দি হয়ে আছে। পার্কটির অবকাঠামো সব ধ্বংস হয়ে গেছে। নতুন অবকাঠামো দ্রুত তৈরি করে পার্কটি শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য খুলে দেয়ার দাবি জানান তারা।