করোনা আসার পর অনেকদিন হলো বাজারে যাই না। সেদিন অফিস থেকে বেতন পেলাম। পরদিন (শুক্রবার) ভাবলাম, আজকের বাজারটা আমিই করব। পরিবারকে না জানিয়ে বাজার করে বাসায় নিয়ে তাদের সারপ্রাইজ দেব। তাই ৫০০ টাকা হাতে নিয়ে গেলাম বাজার করতে।আমার আবার শীতকালীন সবজি খুব পছন্দ। তাই বাজারে দেখলাম শীতকালীন সবজি কী কী আছে। তখন এক কেজি শিম নেওয়ার চিন্তা করলাম। দোকানদারকে শিমের দাম জিজ্ঞাসা করতেই আমি অবাক! দোকানদার বললেন, ‘উড়শি (শিম) ১৪০ ট্যাকা।’ ভাবলাম, শীতকাল আসেনি তাই এত দাম শিমের। ফলে আধা কেজি ৭০ টাকা দিয়ে নিলাম। পরে অন্য কোনো শীতের সবজি কেনার আর সাহস করলাম না। বাজারে আরও কিছু সবজি দেখলাম।কিন্তু এসব সবজির দাম জিজ্ঞাসা করতেই আমি ফের অবাক হয়েছি। প্রায় সব সবজিই ৮০-১০০ টাকার ঘরে বা তারও বেশি। যদিও এসব সবজি আমি কখনো এত দামে এর আগে কিনিনি। এক দোকান থেকে বেছে বেছে আধা কেজি টমেটো নিলাম। এর জন্য আরও ৭০ টাকা খরচ হয়েছে।ঘরে আলু প্রায় সব সবজির সঙ্গেই রান্না করা হয়। তাই এক কেজি আলু কিনলাম। তবে আলুর দামেও স্বস্তি পেলাম না। এক কেজি আলু কিনতে হলো ৫০ টাকায়। এর আগে ২০-২৫ টাকায় আমি অনেক আলু কিনেছি। সব মিলিয়ে এক কেজি সবজি আর এক কেজি আলু কিনেছি ১৯০ টাকা খরচ করে।এগুলো কিনে চলে আসার সময় সবজি বিক্রেতা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কাঁচা মরিচ লাগে না ভাই?’ তখন কাঁচা মরিচ কেনার কথা মনে পড়ল। বললাম, ‘আমাকে ১০ টাকার কাঁচা মরিচ দেন।’ তিনি বললেন, ‘দশ ট্যাহায় এহোন কাঁচা মরিচ বেচি না। আদবা (১২৫ গ্রাম) নিতে হইব।’ আমি রীতিমত অবাক হলাম। কারণ আগে আমি ২-৫ টাকায় অনেক কাঁচা মরিচ কিনেছি।