আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা তো দলগতভাবে ধর্ষণ-নারী নির্যাতন করেছে। নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে ৮ বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা, ৬০ বছরের নারী- কেউ রক্ষা পায়নি বিএনপির লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর হাত থেকে। এনিয়ে যখন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম কথা বলেন, তখন তা হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমান সরকার অতীতে ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিচার যেমন করছে বর্তমানে সংঘটিত এ ধরনের অপরাধের বিচারও সরকার করবে।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শনিবার সকালে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২০-২১ বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ ও চট্টগ্রাম বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক এসএম আবুল হোসেন।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনের ৩ মাস পর থেকে উনারা (বিএনপি) আমাদের কখনও সময় দিতে চাননি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, জনগণ আমাদের সময় দিয়েছে এবং প্রায় পৌনে ১২ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন, সুতরাং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সময় দিলেন কি দিলেন না, সেটি বড় ব্যাপার নয়, জনগণ সময় দিচ্ছে কিনা সেটিই হচ্ছে মুখ্য বিষয়।
সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন এবং সম্প্রচার আইন হলে গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন কাঠামো থেকে শুরু করে সবকিছু সুরক্ষিত হবে। তবে আইন পাস করা কোনো মন্ত্রণালয়ের একক বিষয় নয়। এর সঙ্গে মন্ত্রিসভা, আইন মন্ত্রণালয়, সংসদ, সংসদীয় কমিটি যুক্ত। যেহেতু তথ্য মন্ত্রণালয়ের একক দায়িত্বে এটি করা সম্ভব নয়, সুতরাং এটি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো সময় বেঁধে দেয়াও সম্ভব নয়। তবে এটি শিগগিরই করার চেষ্টা করছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যেই ঘটনাগুলো ঘটছে এগুলো যে আগে ঘটেনি তা নয়। কিন্তু আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকতা ছিল না বিধায় সেগুলো মানুষ জানতে পারত না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কিন্তু এখন কোনো ঘটনাই ঢাকা থাকে না। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভালো দিক।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বেতারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন স্বাধীন বাংলা বেতারের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।