ভারী বর্ষণ ছাড়াই জোয়ারের পানিতে গত এক সপ্তাহে দু’বার ডুবছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল। পুরো হাসপাতালের মেঝেতে হাঁটু পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত। এতে হাসপাতালে থাকা রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। অনেকে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র কিনতে বাইরে যেতে পারছেন না। এতে চিকিৎসা সেবার দারুন ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানান ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরা। হাসপাতালে জোয়ারের পানি উঠার ব্যাপারে রোকেয়া নামে রোগীর এক স্বজন বলেন, বৃষ্টি ছাড়াও জোয়ারের পানিতে থৈ থৈ করছে হাসপাতালের মেঝে, মুমুর্ষু রোগীদের চিকিৎসা সেবার চরম র্দূভোগ পোহা”েছ রোগীদের স্বজনরা। একই সঙ্গে হাসপাতালে আগত সাধারণ রোগীরাও যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হ”েছন। এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় হাসপাতালটি। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ না নিলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। এ বিষয়ে মা ও শিশু হাসপাতালে পরিচালক ডাক্তার নুরুল হক জানান; প্রতি বছর বর্ষার মৌসূমে এ ধরণের দূর্ভোগের স্বীকার আমাদের হতে হয়। এ হাসপাতালটি চট্টগ্রাম নগরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। জোয়ারের এ পানি থেকে রক্ষার জন্য যথাযথ ড্রেনেজ ব্যব¯’া থাকলে আমি মনে করি এ জলাবদ্ধতার এ সমস্যা থেকে আমরা রক্ষা পাব। এছাড়া হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী এলাকা বেপারী পাড়া, আগ্রাবাদ, সিডিএ এলাকার অনেক ¯’ান জোয়ারের পানিতে ডুবে আছে। বেপারী পাড়া এলাকার বাসিন্দা হাসমত আলী জানান, বছরের প্রায় সময় আগ্রাবাদ এলাকার জোয়ারের পানির এই অবর্ণীয় কষ্টে বন্ধি হতে হয় আমাদের। এলাকাটি বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র হলেও জোয়ারের পানি নিরসনে নেই কোন সঠিক পদক্ষেপ। এলাকাবাসী জানান; যথাযথ নিয়মে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এই দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে নগরীর আগ্রাবাদবাসী।