লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিয়ম-নীতির কোন তোয়াক্কা না করেই সিভিল সার্জন অফিসের রাতের সেই নির্দেশেই চলছে বন্ধ হওয়া সেই ৩ হাসপাতাল। পৌরসভার শহরস্থ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করেন লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুল গাফফার৷ এ সময় তিনি ৭টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় রয়েল হাসপাতাল ও মা-মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ৩টি বন্ধ করার নির্দেশ এবং বায়োপ্যাথ, উপশম, মেডিকা হাসপাতালসহ ৪টি হাসপাতালকে কাগজপত্র নবায়ন করার জন্য অধিক ৪৫দিন পর্যন্ত মৌখিকভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন। গত ১০ আগষ্ট থেকে ১৭ আগষ্ট পর্যন্ত মেডিকা,আল-ফারুক ও উপসম হাসপাতালে ডাক্তারদের অবহেলা ও খামখেয়ালীপনায় ২নবজাতক ও ১প্রসূতির মুত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন কতৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় সিভিল সার্জন ডাঃআবদুল গাফফার ২০ আগষ্ট বিকেলে হটাৎ রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ডাঃ গুনময পোদ্দার, সিজিল সার্জেন্ট অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রায়হানকে নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ওই ৩টি হাসপাতালকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু ২১ (আগষ্ট) শুক্রবার দিনব্যাপী বন্ধ করে দেওয়া হাসপাতাল গুলোতে গিয়ে দেখা যায় রোগী দেখা থেকে শুরু করে পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং সিজারিয়ান অপারেশনসহ সকল কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। এতে করে হাসপাতাল মালিকপক্ষের এমন নৈরাজ্য কর্মকান্ডের ফলে উপজেলাব্যাপী সর্বস্তরের জনসাধারনের চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রে জানা যায় উপজেলার রামগঞ্জে ১০টি হাসপাতাল ও ১৪টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে৷ এ মধ্যে রামগঞ্জ ডিজিটাল ল্যাব, মা-মনি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং রয়েল ও সিটি হাসপাতালসহ ৭টির কোন প্রকার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় রয়েল,গ্রীনলাইফ, ও মা-মনি ডায়াগনষ্টিক এন্ড হাসপাতাল কতৃপক্ষকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন সিভিল সার্জন। বাকী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কারো ৩০ ভাগ থেকে ৫০ ভাগ কাগজপত্র অথবা নবায়ন পর্যন্ত নেই। রয়েল হাসপাতালে এমডি রাজু হোসেন জানান, হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশনা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই সিভিল সার্জন অফিসে গিয়েছি। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের বিষয়ে স্যারের সাথে কথা হয়েছে। রোগীর স্বজনদের অনুরোধে হাসপাতাল খোলা রেখেছি। তবে এক সাপ্তাহের মধ্যে সকল কগজপত্র রেডি করে ফেলবো। রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ গুনময় পোদ্দার জানান, সিভিল সার্জন বৃহস্পতিবার বিকেলে ৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান দেন। এ সময় তিনি কোন প্রকার কাগজপত্র না থাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ ও কাগজপত্র আছে এবং নবায়নের জন্য আবেদন করছে এমন হাসপাতালগ গুলোকে অধিক ৪৫দিন পর্যন্ত সময় দিয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুল গাফফার জানান,বন্ধ করে দেওয়া হাসপাতাল গুলোর লোকজন রাতে আমার সাথে দেখা করেছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করার জন্য বলা হয়েছে। হাসপাতাল খোলার জন্য বলা হয়নি। এর পরেও যদি কেউ হাসপাতাল খোলা রাখে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।