দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনের তিনটিতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও একটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। গত রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোন রকম বিরতি ছাড়াই সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সাতক্ষীরার চারটি নির্বাচনী এলাকায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। দু’একটি ছোট খাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। পাচ থেকে ছয়শত ভোটার নিয়ে এক একটি বুথের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্র স্থাপন হওয়ায় কেন্দ্রগুলোতে তেমন কোন ভীড় লক্ষ্য করা যায়নি। প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর কারণে ঘটেনি তেমন কোন বিশৃঙ্খল ঘটনা। গত রবিবার রাতে বেসরকারিভাবে এই ফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। গণনা শেষে বেসরকারীভাবে নির্বাচিতরা হলেন, সাতক্ষীরা-০১ (তালা-কলারোয়া) আসনের আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী সাবেক কলারোয়া উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮ শত ২১ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্র দোলনা প্রতীকের এসএম মুজিবুর রহমান ওরফে সরদার মুজিব ১৫ হাজার ৭ শত ৮, স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী শেখ নুরুল ইসলাম ৫ হাজার ৯শত ৪৮, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী ইয়ারুল ইসলাম ৮শত ৩৫, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকের প্রার্থী শেখ মো: আলমগীর ৪ শত ৮০, তুণমূল বিএনপির সোনালী আশ প্রতীকের প্রার্থী সুমি ৪৪২, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত হাতুড়ি প্রতীকের প্রার্থী মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ৪ শত ৩১, স্বতন্ত্র কাঁচি প্রতীকের প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান ৩ শত ৫৩ এবং স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো: নুরুল ইসলাম ২ শত ৮ ভোট পেয়েছেন। সাতক্ষীরা-০২ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশু ৮৮ হাজার ৩ শত ৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ) ঈগল প্রতীকের মীর মোস্তাক আহমেদ রবি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৪ শত ৪৭ ভোট। এছাড়া ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আফসার আলী ৭ হাজার ৭ শত ৯৪ ভোট, এনপিপি এর আম প্রতীক নিয়ে মো: আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৯ শত ৩৮ ভোট, বিএনএম এর নোঙর প্রতীক নিয়ে মো. কামরুজ্জামান বুলু ৭ শত ২৫ ভোট, কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনসান বাহার বুলবুল ৪৮০ ভোট এবং তৃণমূল বিএনপির মোস্তফা ফারহান মেহেদী পেয়েছেন ৩ শত ০৩ ভোট। সাতক্ষীরা-০৩ (আশাশুনি-দেবহাটা-কালিগঞ্জের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮ শত ৭৩ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী মো: আলিফ হোসেন পেয়েছেন ১২ হাজার ৪ শত ৭৩ ভোট। এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে এনপিপি এর আম প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল হামিদ ১ হাজার ১ শত ৪৮ ভোট, জাকের পাটির গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী মো. মঞ্জুর হাসান ৮ শত ৩৯ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনালী আশ প্রতীকের রুবেল হাসান ৫ শত ৬৩ ভোট এবং বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল) এর চাকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ তারিকুল ইসলাম ৩ শত ৯২ ভোট। সাতক্ষীরা-০৪ (শ্যামনগর-কালিগঞ্জ আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আতাউল হক দোলন ১ লাখ ৪০ হাজার ৪৬ ভোট বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনএম দলীয় নোঙর প্রতিকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯ শত ৪৬ ভোট। এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীরা পেয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবর রহমান ৩ হাজার ৩ শত ৩৯ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম ১ হাজার ৩ শত ৩২ ভোট, কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান ৫ শত ৭৮ ভোট, তৃণমূল বিএনপির সোনলী আশ আশ প্রতীকের প্রার্থী আসলাম আল মেহেদী ৫ শত ৯ ভোট এবং এনপিপি-এর আম প্রতীকের প্রার্থী শেখ ইকরামুল ৪ শত ৯৩ ভোট। গতকাল রাত্রে ভোট গণনা শেষে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ উল্লাস করতে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায়।