ফরিদপুরের মধুখালী ও কামারখালীতে জমে উঠেছে পেঁয়াজের চারার হাট। চারা রোপণের মৌসুমকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই হাট জমে উঠে কামারখালী ও মধুখালীতে। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মরিচ বাজারে ও কামারখালী চৌধুরী বাড়ীর সামনে এ হাট বসে। সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার হাটবার। এ দুটি দিনে সকাল থেকেই ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে হাট। বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি ও দেশি জাতের চারা বিক্রি হয় এ হাটে। এ বছর মধুখালীর বিভিন্ন হাটে কৃষকরা পেঁয়াজের চারা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে। তবে ক্রেতাদের দাবি দামের পরিমান বেশি । উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পেঁয়াজের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান। উপজেলার সবচেয়ে বড় মধুখালী ও কামারখালী হাটে শুক্রবার চারা সংগ্রহ করতে ভিড় পড়ে গেছে কৃষকদের। ডুমাইন তারাপুর, রাজবাড়ীর বহরপুর, নারুয়া, সোনাপুর, সালথা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে মিনি পিকআপে ও ভ্যানে করে চারা আসে উপজেলার মধুখালী ও কামারখালী হাটে। সেখান থেকে এসব চারা আবার স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যায়। শুক্রবার সরজমিনে কামারখালী ও মধুখালী পিয়াজের চারার হাট ঘুরে দেখা যায় বাজারে খুচরা পর্যায়ে চারা ভেদে প্রতিমণের দাম ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রোপনের শুরুর মৌসুমেই চারার দাম কিছুটা বেশি। হাটে চারার আমদানিও ব্যাপক দেখা যায়। প্রতিহাটে মধুখালী ও কামারখালীতে ২শ থেকে ৩শমন চারা ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে। চারা রোপণে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শত শত কৃষক হাটে চারা সংগ্রহ করতে হাজির হচ্ছে। উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের মিটাইন গ্রামের পিয়াজ চাষী জিয়া শেখ জানান এ বছর তিনি ১ একর জমিতে পিয়াজ চাষ করবেন। একই গ্রামের নিজাম শেখ জানান নিজেই পিয়াজের বীজ উৎপাদন করেছি যে কারনে আমার একটু খরচ কম হবে। মধুখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভির রহমান জানান, ১৭০ হেক্টর পর্যন্ত চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সামনে আরো এক মাস কৃষকরা চারা রোপণ করবেন। তাতে এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।