সরকারের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের এক হয়ে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা যদি একত্রে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তবে যারা ষড়যন্ত্রকারী, অগ্নিসংযোগকারী আর যারা এ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, তাদের রুখে দেওয়া সহজ হবে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজিত ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সুরক্ষায় নতুন প্রজন্মের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএসএমএমইউ ভিসি। ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মনে রাখতে হবে, এ দেশে রাজাকারদের সন্তানও রয়েছে। রাজাকারের সন্তানরা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ভূমিকা রাখতে হবে। আজকের সমাবেশে নতুন প্রজন্ম সেই পথে ধাবিত হচ্ছে। এরাই আগামীর বাংলাদেশ, এরাই আগামীতে সরকার গঠনে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, আগস্টে আমরা যাদের স্মরণ করি, তাদের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী প্রজন্মকে কাজ করতে হবে। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আজ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সমবেত হয়েছে। উপাচার্য বলেন, খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা একদিনে হননি। তিনি ধাপে ধাপে জাতির পিতায় পরিণত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৌশলেই ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ৬ দফার প্রতিটি দফায় পাকিস্তানের জন্য আলাদা মুদ্রা, আলাদা রাজস্ব ব্যবস্থা ও আলাদা বাহিনীর কথা ছিল। এর চূড়ান্ত রূপ দেন ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে। শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ছিল ৯৯ ডলার। বঙ্গবন্ধু সেটিকে তার সময়ে ২৭৪ ডলারে উন্নীত করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে আহ্বান থাকবে, এই হত্যাকারীরা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পেরে, সেদিকে লক্ষ রেখে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, রাজাকার, আলবদর সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিদের কখনোই এ দেশে পতাকা ওড়াতে দেওয়া যাবে না। তার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য আবারও তাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।