আগামী ২১ মে চলতি হজ মৌসুমে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হবে। যাওয়া-আসা মিলিয়ে মোট ১৬০টি ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশ বিমান। বিমানের সবকটিই ডেডিকেটেড ফ্লাইট হবে। ২২ জুন শেষ হবে বিমানের প্রি-হজ ফ্লাইট।

রোববার (১৯ মার্চ) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম।

তিনি জানান, ২১ মে রাত পৌনে ৪টায় প্রথম ফ্লাইট বিজি-৩০০১ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। জেদ্দা বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় বিমানটি অবতরণ করবে।

বিমানের এমডি জানান, চলতি বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহৃত হবে। প্রি-হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এরমধ্যে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ১১৬টি, ঢাকা-মদিনা রুটে ২০টি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৪টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ৬টি, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে হজযাত্রীদের বিমানের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন শফিউল আজিম। তিনি বলেন, ট্যাক্স, ডলারের দাম ও জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধির কারণে বিমান ভাড়া বেড়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই।

বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, হজের যে ভাড়া ধরা হয়েছে এটা একদম সর্বনিম্ন ও সর্বশেষ। আমরা যতটুকু সম্ভব ততটুকু কমিয়েছি। এর চেয়ে কম আর কম করা যায় না।

চলতি বছরে হজ ফ্লাইটে যে বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে সেটি একটি আদর্শ বিমানভাড়া বলেও দাবি করেন তিনি।

বিমানের এমডি বলেন, আমরা ৩ মাস ধরে হজের বিমান ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ টাকা। পরে এটিকে কমিয়ে প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটিও এই ভাড়া নির্ধারণ করেছে।

শফিউল আজিম বলেন, ‘হজ প্যাকেজ চুড়ান্ত হয়ে গেছে। সেখানে বিমান একটি মাত্র খাত। আমরা সর্বনিম্ন দিয়েছি। এরপরে আমাদের আর কিছু করার নাই।

আগামী জুনের শেষ ভাগে সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হবে।